চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে উপ নির্বাচনসম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্র্ডের উপ-নির্বাচনে প্রয়াত কাউন্সিলর নাজমুস সালেহীন লিটনের স্ত্রী মোছা. নাজরিন পারভীন মলি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে ১০৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বজলুর রহমান অপু টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৪৪ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ৫ হাজার ৭শ ৯৪ ভোটের মধ্যে অর্ধেকেরও কম ২ হাজার ৪শ ৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২৯টি ভোট। পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে নাজরিন পারভীন মলি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বজলুর রহমান অপুর চেয়ে ১শ ৯১ ভোট পেয়ে বিজয় হাসি হেসেছেন। বিজয়ের পর তাকে তার পরিবারের লোকজনসহ নিকটজন ও কমী-সমর্থকসহ বিএনপির অনেকেই ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় জমান। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম সোহেল উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯১ ভোট। অথচ গত নির্বাচনে এই সোহেল ছিলেন নাজমুল সালেহীন লিটনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। এবার গতবারের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন। জামিলুল কাদীর ডালিম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮২ আর আমিরুল ইসলাম গাজর প্রতীক নিয়ে ৭২ ভোট পেয়ে জামানত হারাতে বসেছেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ঝিনুক বিদ্যাপীঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নাজনিন পারভীন মলি পেয়েছেন ২৩, আমিরুল ইসলাম পেয়েছে ২৯, জামিরুল কাদীর পেয়েছেন ৩৬, জাহিদুল ইসলাম সোহেল পেয়েছেন ৯১ ও বজলুর রহমান পেয়েছেন ১৭০ ভোট। ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে নাজরিন পারভীন মলি পেয়েছেন ৩৬৩, আমিরুল ইসলাম পেয়েছে ২৬ ভোট, জাহিদুল কাদীর পেয়েছেন ৩৬ ভোট, জাহিদুল ইসলাম সোহেল পেয়েছেন ৯১ ভোট, বজলুর রহমান পেয়েছেন ১৩৬ ভোট। চুয়াডাঙ্গা সরকারি ভি.জে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নাজরিন পারভীন মলি পেয়েছেন ৩৪৯, আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭, জামিলুল কাদীর ১০, জাহিদুল ইসলাম ২০৯ ও বজলুর রহমান পেয়েছেন ৫৩৮ ভোট। চুয়াডাঙ্গা প্রশাসন এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকল প্রকারের পদক্ষেপ নেন। ভোট পোল হয়েছে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। কোথাও থেকে উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত: চুায়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন নাজমুস সালেহীন লিটন। তিনি পর পর তিন দফা নির্বাচিত হয়ে জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসার এক পর্যায়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ওইদিনই তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য পদে নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহণের পর শুরু হয় গণনা।