তুচ্ছ ঘটনায় গাংনীর হোগলবাড়িয়ায় মেহেরপুর মালিকের গাড়ি ভাঙচুর

চালককে পিটিয়ে হাসপাতালে : হেলপার নিখোঁজ : মামলার প্রস্তুতি

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে তুচ্ছ ঘটনায় যাত্রী ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর ও চালককে মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বাসটির হেলপার নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় মেহেরপুর গাংনী থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বাস-মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া এলাকায়।
মেহেরপুর শহরের বাসচালক মো. ফারুক হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জানান, তিনি জোনাক-সাগর নামের একটি লোকালবাস (যার নম্বর-মেহেরপুর-ব-১১-০০০৫) চালান। যথারীতি গতকাল দুপুরের দিকে বাসটি চালিয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে খলিসাকু-ে যাচ্ছিলেন। গাংনীর হোগলবাড়িয়া থেকে যাত্রী বেশে হোগলবাড়িয়া গ্রামের মাতু বিশ্বাসের ছেলে বকুল ও তার স্ত্রী বাসে ওঠেন। এ সময় তার স্ত্রীর দু’হাতে দুটি ব্যাগ ছিলো। তার স্ত্রীর গাড়িতে উঠতে অসুবিধা হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ তুলে খলিসাকু-ু ঘাটে পৌঁছে। এরপর ওপারে তার স্ত্রী কুষ্টিয়ার উদ্দেশে একটি বাসে করে রওনা দেন। পরে খলিসাকু-ু ঘাটে যাত্রী বকুল গাড়ি থেকে নেমে তাকে (চালক) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে তাদের দু’পক্ষকে ডেকে হাতে হাত মিলিয়ে দেন। এরপর যাত্রীবাহী বাসটি মেহেরপুরের উদ্দেশে ছাড়ে। রাস্তায় বিশেষ করে হোগলবাড়িয়া পর্যন্ত যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য সকলের অনুরোধে বকুল যাত্রীবাহী বাসটিতে ওঠেন। এরপরও যাত্রীবাহী বাসটি হোগলবাড়িয়ায় পৌঁছুলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা বকুলের লোকজন বাসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বাসে হামলা চালিয়ে বাসের ৬টি সাইটগ্লাস ও একটি সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে এবং আমাকে (চালক) ও হেলপার লাবুকে বেধড়ক মারধর করে। সেখান থেকে এক ট্রাকচালক তাকে তুলে নিয়ে গাংনীর বামুন্দী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। সন্ধ্যার পরে তিনি মেহেরপুর পৌঁছান। তবে তার পকেটে থাকা ৫ হাজার নগদ টাকা ও দামি মোবাইলফোনটি ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এদিকে গাড়ির হেলপার লাবুকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গাড়ির মালিক শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান ফজলু বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমার চালককে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পকেটে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা ও দামি মোবাইলফোনটিও ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি আজ রাতেই গাংনী থানায় একটি মামলা করবো। মালিক সমিতিতে একটি অভিযোগ দেবো। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে পরে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।
এদিকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাড়ি ভাঙচুরের কথা আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।