নির্বাচন হোক সাধারণ মানুষের প্রত্যাশিত পরিবেশে

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নবগঠিত তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ ও দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডসহ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচন আজ। এছাড়াও দেশের বেশ কিছু ইউনিয়ন পরিষদেরও নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গোপন ব্যালটে ভোটারদের রায় গ্রহণের জন্য প্রশাসনের তরফে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে বার বারই বলা হচ্ছে, সকল নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে হবে।
গণতন্ত্রান্ত্রিক পদ্ধতি মতে নির্বাচনই উত্তম পন্থা। এ পন্থায় জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের সম্ভাবনা থাকে। কারণ, নির্বাচিত ব্যক্তির মধ্যে দায়বদ্ধতা যেমন বেড়ে যায়, তেমনই জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন লালনকারীদের মধ্যেও জনসেবার মানসিকতা গড়ে ওঠে। অন্যথায়? তথা অগণতান্ত্রিক পন্থায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে উন্নয়নের বদলে সমাজকে চরমমূল্য দিতে হয়। ফলে উন্নয়ন ও শান্তিকামি সাধারণ মানুষ সবসময়ই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে গোপনে নিজের রায় ব্যালটের মাধ্যমে দেয়ার সুযোগ প্রত্যাশা করে। নানা কারণে এ সুযোগ থাকে না।
চুয়াডাঙ্গা প্রশাসনের শীর্ষকর্তা তথা জেলা প্রশাসক হিসেবে জিয়াউদ্দীন আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিজের দক্ষতায় সর্বক্ষেত্রে যে স্বচ্ছতা গড়ে তুলেছেন, তা অনন্য দৃষ্টান্ত। একের পর এক বিচক্ষণ পদক্ষেপ জেলাবাসীর ইতিবাচক প্রত্যাশা বাড়িয়েছেন তিনি। জেলা পুলিশের শীর্ষকর্তাও তার কর্মকা-ের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই বুঝিয়েছেন তিনিও ন্যায়ের পুজারি। ফলে আজকের নির্বাচন সাধারণ ভোটারের প্রত্যাশার পরিবেশেই যে হবে তা আশা করা যেতেই পারে।