টি-২০ ক্রিকেটে লজ্জার রেকর্ডগুলো

মাথাভাঙ্গা মনিটর: গত ২০ ডিসেম্বর ভারতের ১৮০ রানের জবাবে মাত্র ৮৭ রানে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ৯৩ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলে নিয়েছে ভারত। রেকর্ড বইয়ে এ ভাবে নিজেদের নাম ওঠায় স্বভাবতই খুশি নয় শ্রীলঙ্কা। টি-২০ ক্রিকেটে এরকম একাধিক রেকর্ড রয়েছে, যেগুলি খোদ রেকর্ডধারীরাই বলতে পছন্দ করবে না। এক নজরে দেখে নেয়া যাক টি-২০-এর এমনই কিছু লজ্জার রেকর্ড।

বাংলাদেশে ২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাত্র ৩৯ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১০.৩ ওভার। আন্তর্জাতিক টি২০-তে এটাই সর্বনিম্ন স্কোর। এক ওভারে সর্বাধিক রান দেয়ার রেকর্ডটি রয়েছে ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রডের দখলে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ব্রডের এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মারেন যুবরাজ সিংহ। টি-২০-এর ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী  হলেও সবচেয়ে বেশি বার শূন্য করার রেকর্ডও রয়েছে শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশনের। মোট ১০ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। এক ইনিংস সর্বোচ্চ অতিরিক্ত দেয়ার রেকর্ড রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দুই দল মোট ৪৫টি অতিরিক্ত রান দেয়। এক ইনিংসে সর্বাধিক রান দেয়ার রেকর্ডটি রয়েছে আয়ারল্যান্ডের ব্যারি ম্যাকার্থির দখলে। চলতি বছর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ৪ ওভারে ৬৯ রান দেন তিনি। টানা ম্যাচ হারার রেকর্ডটি রয়েছে জিম্বাবুয়ের দখলে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে টানা ১৬টি ম্যাচ হেরে এই লজ্জার রেকর্ড করে জিম্বাবুয়ে। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি শূন্য করার রেকর্ডটিও জিম্বাবুয়ের দখলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মোট ছয়জন ক্রিকেটার কোনো রান না করেই আউট হন।