নতুন বছরে মেয়েদের পেশাদার ফুটবল লিগ

স্টাফ রিপোর্টার: নতুন বছরে মেয়েদের পেশাদার ফুটবল লিগ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে ট্রফি হাতে মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা ও টুর্নামেন্টের আগেরদিন মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের অদম্য কন্যারা। তাদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও ভীষণ খুশি। কিশোরীদের সাফল্য তাকে এতোটাই আলোড়িত করেছে যে, তিনি মেয়েদের ফুটবলকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী বছর থেকে দেশে পেশাদার লিগ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ ঘোষণা সোমবার দিলেন সালাউদ্দিন, ‘আমাদের মেয়েরা ফুটবলে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক নারী দলের পারফরম্যান্স সাম্প্রতিক সময়ে নজরকাড়া। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুরুষদের পাশাপাশি দেশে মেয়েদের ফুটবলেও পেশাদারিত্ব আনব। আগামী বছর থেকে বাংলাদেশে মহিলা পেশাদার ফুটবল লীগ চালু করব আমরা।’ শিরোপাজয়ী কিশোরী দলের সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। রোববার ফাইনাল শেষে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি দলকে ছয় হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রথমবারের মতো সাফজয়ী কিশোরী দলকে শুধু অর্থপুরস্কার দিয়েই থামছে না বাফুফে। তাদের দেয়া হবে সংবর্ধনা। সালাউদ্দিন বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতে ওরা ক্যাম্পে আসার পর সংবর্ধনা দেয়া হবে। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ দলকে যেভাবে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিলো তোমাদেরও সেভাবে দেয়া হবে।’ শুধু সংবর্ধনা আর অর্থপুরস্কারই নয়, মেয়েরা যাতে সারা বছর খেলার মধ্যে থাকতে পারে তার ব্যবস্থাও করছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা। ১০ জানুয়ারি কিশোরীদের ক্যাম্প শুরু হবে। নতুন বছরের প্রথম মাসকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সালাউদ্দিন। তার কথায়, ‘আমরা নারী ফুটবলের জন্য চার বছরের বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ৫০ জনের একটি দল রাখতে চাই। সারা বছর প্রশিক্ষণ করানো হবে। প্রতি ১২ মাসে মেয়েদের বিদেশে ১০ থেকে ১৫টি ম্যাচ খেলাতে চাই আমরা। এজন্য বছরে তিন কোটি টাকা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। চার বছরে ১২ কোটি টাকার সংস্থানের জন্য আমরা জানুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু করবো।’

দু’বছরে বয়সভিত্তিক মেয়েদের দল দেশকে তিনটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উপহার দিয়েছে। কিন্তু দেশের ফুটবল সংস্থা তাদের তেমন কিছুই দিতে পারছে না। তবে এবার কিছুটা হলেও সচ্ছল হতে পারবে বাংলাদেশের প্রমীলা ফুটবলাররা। বিষয়টি পরিষ্কার করেন সালাউদ্দিন, ‘আমরা জাতীয় দলে থাকা ফুটবলারদের ভাতা দিচ্ছি। আগামী বছর পেশাদার লিগ চালু করবো আবার। পেশাদার লীগ চালু হলে মেয়েরা আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে।’

আগামী বছর ব্যস্ত সূচি রয়েছে মেয়ে ফুটবলারদের। এএফসি অ-১৬ বাছাই, সাফ অ-১৮, এএফসি অ-১৯ বাছাই হবে। বাফুফের পরিকল্পনা রয়েছে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলার। এটি অবশ্য নির্ভর করছে অর্থ সংস্থানের ওপর।