চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের বিরুদ্ধে মামলার রায় : ৩ জানুয়ারি ব্যাখ্যা চেয়ে প্রতি জেলায় স্মারকলিপি

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণসভা : সড়ক পরিবহন নীতিমালা সংস্কার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের কল্যাণে বিদ্যমান পরিবহন নীতিমালা সংস্কার আবশ্যক বলে মনে করেন এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা গতকাল মঙ্গলবার রমনা আইইবি মিলনায়তনে সমিতির বার্ষিক সাধারণসভায় সভাপতির বক্তব্যে এই মতামত তুলে ধরেন। এ সভায় জানানো হয়, সড়ক পরিবহন নীতিমালা সংস্কার দাবি ও চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় রায় দান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে আগামী ৩ জানুয়ারি বেলা ১২টায় প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের কাছে সমিতির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
সাধারণসভায় বক্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াও ঢাকা-পাটুরিয়া সড়কের মানিকগঞ্জে দুর্ঘটনায় হতাহত এবং তার প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ মামলায় চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স মালিকপক্ষের মোটাঅঙ্কের টাকা দেয়ার আদেশের বিষয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বক্তারা বলেন, পরিবহন ব্যবসাকে গতিশীল করতে হলে অবশ্যই এ ধরনের ক্ষতিপূরণ থেকে পরিবহন মালিকদের রেহায় দেয়ার বিষয়টি নতুন করে ভাবতে হবে। আন্তরিক হতে হবে সরকারকে।
সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লার সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত সাধারণসভার আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন যশোর বাস-মালিক সমিতির সভাপতি আলী আকবর, কোষাধ্যক্ষ শফিউল আলম, ঝিনাইদহ বাস মালিক সমিতির সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু, কালীগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।
সমিতির সভাপতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০ দলীয় জোট আন্দোলন সংগ্রামের নামে দেশব্যাপী পরিবহন খাতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত মালিক-শ্রমিকদের ক্ষয়ক্ষতি পূরণে প্রায় ৪০ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেছেন। এর মাধ্যমে সরকার পরিবহন বান্ধব সরকার হিসেবে দেশে-বিদেশে সুপরিচিত পেয়েছে। অতীতে কোনো সরকারই পরিবহন খাতে এ ধরনের আর্থিক সহায়তা দেয়নি। ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার পরিবহন খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে।
অংশগ্রহণকারী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উত্থাপিত দাবি-দাওয়া সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স-টোকেন ফি কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, সড়ক পথে হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ, যানজট হ্রাস, প্রতিটি জেলায় আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, সড়ক দুর্ঘটনারোধে আঞ্চলিক ও মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বিভিন্ন হাইওয়েতে সমন্বিত চেকপোস্ট স্থাপন ও বিভিন্ন পৌর কর্তৃপক্ষের ইচ্ছে মাফিক চাঁদা আদায় কার্যক্রম বন্ধ করার আশ্বাস দেন।