বোর্ডের ৪শ’ খাতাসহ আটক হলেন শিক্ষক হাসমত আলী

চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুর্নীতি-অনিয়ম দেখতে গেলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুর্নীতি অনিয়ম দেখতে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা পড়লেন শিক্ষক মো. হাসমত আলী। তিনি শিক্ষাবোর্ডের খাতা তার ছাত্রদের দিয়ে মূল্যায়ন করাচ্ছিলেন। এ সময় বোর্ড পরীক্ষার ৪শ’ খাতাসহ শিক্ষক হাসমত আলীকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক দোষ স্বীকার করায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত খাতাগুলো ট্রেজারি হেফাজতে আটক রেখেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার বেলা ১১টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার ওই শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করেন।
লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের নিকটবর্তী চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কোনো জাতীয় দিবস পালন করা হয় না। অধ্যক্ষ মো. মাসরেকুল ইসলামসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ শিক্ষক স্কুলে না এসেই ব্যাকডেটে হাজিরা খাতায় সই করেন। গত ২৫ নভেম্বর দেশব্যাপী আনন্দ শোভাযাত্রা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন না করা হলে কতিপয় শিক্ষক ও অভিভাবক ফুঁসে ওঠেন। তারা প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। সোমবার বেলা ১১টায় অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে আকস্মিক চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়স্থ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার। তিনি সেখানে অভিযোগের সত্যতা পান। স্কুলের নোটিশ খাতাটি জব্দ করেন। এ সময় তিনি দেখেন স্কুলের একটি কক্ষে শিক্ষক মো. হাসমত আলী ২৩ জন ছাত্রকে দিয়ে বোর্ড পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ছাড়া ওই খাতা কারোরই মূল্যায়নের এখতিয়ার না থাকলেও শিক্ষক হাসমত আলী নিজের সুবিধার্থে ছাত্রদের দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করাচ্ছিলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি (ভোকেশনাল) নবম সমাপনী কৃষিশিক্ষা বিষয়ের ৪শ’ খাতা স্কুলের শিক্ষক জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (ইলেক্ট্রিক্যাল) মো. হাসমত আলী ২৩জন ছাত্রকে দিয়ে গোপনে মূল্যায়ন করাচ্ছিলেন। এ সময় খাতাগুলো জব্দ ও শিক্ষক হাসমত আলীকে আটক করা হয়। পরে তিনি লিখিতভাবে দোষ স্বীকার করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত খাতাগুলো ট্রেজারিতে আটক রাখা হয়েছে এবং শিক্ষক হাসমতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর পত্র প্রেরণ করা হচ্ছে।’