ঝিনাইদহে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনে বাধ্য করার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ওষুধ কোম্পানি কর্তৃক বিদেশ যাওয়ার লোভনীয় প্রস্তাব ও মাসিক টাকার ব্যবস্থা থাকায় ঝিনাইদহের কতিপয় চিকিৎসক ডায়াবেটিক রোগীদের অপ্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সেবনে বাধ্য করা হচ্ছে। ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপতালে এ ধরনের ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লেখা নিষিদ্ধ থাকায় জেলা ও ড্রাগ প্রশাসনের দারস্থ হয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি। অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার আত্মীয় হওয়ার কারণে এ ধরনের রানার প্রডাক্ট জোর করে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে সিকো র‌্যাক্স ও ক্যাল সিকো নামে দুটি ট্যাবলেট ডায়াবেটিক রোগীদের কোনো উপকার তো করেই না বরং কোনো কোনো সময় তা জীবনহানীর কারণ হতে পারে। অথচ এ দুটি ট্যাবলেট ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কতিপয় চিকিৎসক দেদারছে ডায়াবেটিক রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে লেখা হচ্ছে। আর এ ওষুধ লিখলে সেমিনারের নামে বিদেশ যাওয়ার লোভনীয় সুযোগ ও প্রতি মাসে ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মাসোয়ারা দেয়া হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিকো র‌্যাক্স ও ক্যাল সিকোসহ বিভিন্ন নামে ক্যালশিয়াম ট্যাবলেট বাজারে আসছে। এটি মূলত ডায়াবেটিক রোগীদের টার্গেট করে বিক্রি করা হয়। আগে প্লাসটিকের কৌটায় এ ট্যাবলেট বিক্রি হতো। এখন বিলিস্টার স্টিবে পাওয়া যাচ্ছে। ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, রোগীদের তেমন কোনো উপকারে না আসায় তাদের প্রতিষ্ঠানে এসব প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে এ ট্যবলেট সেবন করে রোগীদের হাতপায়ে পচন ধরে। ফলে তারা মুমুর্ষূ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের ড্রাগ সুপার নাজমুল হাসান জানান, এসব ওষুধের টেষ্টিং রিপোর্ট মান সম্মত বলে জানতে পেরেছি। তবে লেখা না লেখা চিতিৎসকদের ব্যাপার। তবে ঝিনাইদহের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, এটা কোনো ক্রমেই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারে আসে না। যেসব চিকিৎসকরা লেখেন তারা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছেন।