আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা-মধুখালী মাঠে ডাকাতি ও বোমা মেরে গরু ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শহিদুল ইসলাম নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ইতঃপূর্বে ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসামির আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, গতকাল রোববার আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবীর পার্শ্ববর্তী উপজেলা গাংনীর হেমায়েতপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম (৩৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম আলমডাঙ্গার মোড়ভাঙ্গা গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে। সে গত পাঁচ বছর ধরে গাংনী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে তার শ্বশুর হাজিম আলীর বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছে। ইতঃপূর্বে বোমা মেরে গরু ব্যবসায়ী হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসামি আলমডাঙ্গার কেশবপুরের ঘরজামাই আবুল কালামের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ শহিদুলকে গ্রেফতার করেছে। আবুল কালাম চুয়াডাঙ্গার পীরপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। সে গত ১৫ বছর ধরে কেশবপুর গ্রামের ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর ১৫জন গরু ব্যবসায়ী জীবননগরের শিয়ালমারী পশু হাটে গরু বিক্রি করে লাটা-হাম্বারযোগে আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা গ্রামে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মুন্সীগঞ্জ-মধুখালী মাঠের কাছে ১২-১৬ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল রাস্তায় কলাগাছ ফেলে গরু ব্যবসায়ীদের বহনকারী লাটাহাম্বারের গতিরোধ করে।
ডাকাতরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। পরে গরু ব্যবসায়ীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাদের কাছে থাকা নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। ওই ঘটনায় নতিডাঙ্গার রবিউলের ছেলে গরু ব্যবসায়ী ভুলু নিহত হয়। বাকিরা মারাত্মক আহত হন। সংশ্লিষ্ট মামলায় আজ সোমবার গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।