আজ শুভ বড়দিন

 

স্টাফ রিপোর্টার: খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন আজ। এ পুণ্যদিনে খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট ফিলিস্তিনের বেথেলহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশু খ্রিস্ট জন্ম নিয়েছিলেন সৃষ্টি কর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে বড়দিন পালন করা হবে। দিনটি উপলক্ষে দেশের গির্জাগুলোতে আজ বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। আজ সরকারি ছুটির দিন।

বড়দিন উপলক্ষে পৃথক বাণীতে দেশের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। আজ বিভিন্ন গির্জায় অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রার্থনা। মূলত গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকেই বেথেলহেম থেকে ভ্যাটিকান, ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার প্রতিটি জায়গায় খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারীরা বড়দিনের উৎসব শুরু করে দিয়েছেন।

খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরা বিশ্বাস করেন মহান যিশু খ্রিস্ট ঈশ্বরের পুত্র, সারা পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতেই তার আগমন ঘটেছিলো। বড়দিন পালনের অনুষঙ্গ হিসেবে গির্জা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ অনেকের বাড়িতে ‘ক্রিসমাস ট্রি ও গোশালা’ তৈরি করে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে অনেক জায়গায় আয়োজন করা হয়েছে প্রীতিভোজের। অনেকের বাড়িতে তৈরি হয়েছে বড়দিনের বিশেষ কেক।

বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন চলছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর প্রস্তুতি সবে শেষ হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারাদেশের গির্জায় একই ধরনের সাজসজ্জা চলছে।

এদিকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ নির্বিঘ্নে পালন করার সুযোগ করে দিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ ।