কে হাসবে বিজয়ের হাসি : কার গলায় পড়বে বিজয়ের মালা

জীবননগরের উথলী মনোহরপুর ও কেডিকে ইউনিয়ন নির্বাচন ॥ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত সকলে

নারায়ণ ভৌমিক : আগামী ২৮ ডিসেম্বর জীবননগর উপজেলার উথলী, মনোহরপুর ও কেডিকে ইউনিয়ন নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দল অস্তিত্বের লড়াই বলে মনে করছে। এ অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ প্রতিদিন নিজ নিজ দলীয় প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকগণকে সাথে নিয়ে কনকনে শীতের মধ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে নেতা, প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন কৌশল ও টার্গেট নিয়ে নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগ অব্যাহত রাখছেন দলীয় নেতাকর্মীগণ। প্রার্থীগণ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দকে কাছে পেয়ে নির্বাচনী মাঠে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা। বার বার কষছেন ভোটের হিসাব নিকাশ। প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের চুলচেরা হিসাব নিকাশে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। প্রত্যেক প্রার্থী মনে করছেন, প্রতিপক্ষের চেয়ে আর কিছু ভোট সংগ্রহ করতে পারলে বিজয় সুনিশ্চিত। এরকমই চিন্তা চেতনা নিয়ে প্রার্থীগণ নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। প্রার্থীরা ভোটারদের নিকট দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন ইউপি নির্বাচনের ফলাফল যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হবে তার হাওয়া অনেকটা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই দলের পক্ষে অনেকটা সহায়ক হবে বলে ধারণা করছেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর যেমন তার অস্তিত্বের লড়াই বলে মনে করছেন, তেমনি বিএনপির জেলা আহবায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, যুগ্ন আহবায়ক মহামুদ হাসান খান বাবু, টিপু তরফদারসহ জামায়াতে ইসলামী দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বাঘা বাঘা নেতৃবৃন্দ দলীয় প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে আনতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন।
সুত্র জানান, স্ব স্ব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ প্রার্থীদের ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। সেই সাথে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নামে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর অবস্থান কি-তা নিশ্চিত হচ্ছেন। প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক দেয়ায় উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ পরাজয় প্রার্থীর নয়, দলের বলে মনে করছেন। আর এ চিন্তা চেতনা নিয়েই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক কেন্দ্রে নিজ নিজ অবস্থান ধরে রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ অনুগত কর্মী বাহিনী নিয়ে প্রচার প্রচারণাসহ র্নিবাচনী মাঠে ময়দানে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। রাজনৈতিক পর্যাবেক্ষক মহল মনে করছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও অনেকটা কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। নির্বাচনে দু’একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বিঘেœ চলছে সকল প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ক্ষমতাসীনদের ঘাড়েই পড়বে মনে করে বিএনপি প্রার্থীদের ঠেকাতে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীকে শেষ পর্যন্ত মাঠে রাখতে চাই আওয়ামীলীগ। চলছে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের পরাজয় করার ভিন্ন ভিন্ন কৌশল। শেষ পর্যন্ত সংঘাত সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। কোনো সংঘাত নয়, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন চান ভোটারা। নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন ও আইন শৃংঙ্খলা উন্নয়নে প্রশাসনের দৃষ্টি রয়েছে শক্ত অবস্থানে। নির্বাচনী এলাকা ঘুরে এ রকমই তথ্য পাওয়া গেছে। কে হাসবে বিজয়ের হাসি, কার গলায় পড়বে বিজয়ের মালা তার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন সাধারণ ভোটারা।