হুমায়ুন বাঙালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

চুয়াডাঙ্গা দক্ষিণ গোরস্তানপাড়ার স্কুলছাত্রী রুবিনা ধর্ষণ ও হত্যা মামলা : মহল্লাবাসীর মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দক্ষিণ গোরস্তানপাড়ার স্কুলছাত্রী রুবিনা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত হুমায়ুন বাঙালকে রিমান্ডে নিয়ে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়সহ হত্যার আরও তথ্য উন্মোচনের দাবি তুলেছে মহল্লাবাসী। এ দাবি আদায়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের নিকট থেকে মহল্লাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ হাসান চত্বর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রুবিনার হতদরিদ্র মা মামলার বাদী চায়না বেগম ও পিতা রবিউল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, যে প্রতিবেশীকে ভরসা করতাম সেই প্রতিবেশী যে অতটুকু নাবালিকা মেয়েকে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা করতে পারে তা ভূল করেও ভাবিনি। ওই বিশ্বাসঘাতক ঘুষখোর হুমায়ুন বাঙালসহ ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ওই লম্পট খুনিদের শাস্তি না হলে আমাদের আত্মার শান্তি হবে না।
মানবন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা আগামী রোববার ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করবে বলে ঘোষণা দিয়ে বলেন, গত ২মে দুপুরে রুবিনাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে রুবিনাদেরই বাড়ির উঠোনের আমগাছে ঝুলিয়ে রাখে ঘাতকচক্র। খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই হুমায়ুন বাঙালের স্ত্রীসহ তাদের লোকজন রুবিনার মাকে ভুল বুঝিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য জোরাজোরি শুরু করে। রুবিনার পিতা ঢাকা থেকে ফিরে মেয়ের লাশ দেখে ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেন। পরদিন ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় ৭ মে রুবিনার মা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা মামলার তদন্ত শুরু করলেও মামলার বাদীর সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। তদন্তকর্তা তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র পেশ করে। এরপর গত ১০ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাঙাল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজাতে প্রেরণের আদেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক। রুবিনা ছিলো চুয়াডাঙ্গা রিজিয়া খাতুন প্রভাতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। ওর মা পরের বাড়ির গৃহপরিচারিকা। পিতা থাকে ঢাকায়। মায়ের অবর্তমানেই পড়শি পাশবিক নির্যাতন করে।