এফটিপি সংশোধন করে ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে পাকিস্তানের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মাত্র ২৮টি টেস্ট, ৩৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি! আগের প্রস্তাবিত সূচিতে পাকিস্তানের ম্যাচ সংখ্যা অনেককেই চমকে দিয়েছিলো। টেস্ট খেলার দিক দিয়ে পিছিয়ে তো বটেই; পাকিস্তানের চেয়ে বেশি ওয়ানডে বরাদ্দ ছিলো আফগানিস্তান বা আয়ারল্যান্ডের মতো দেশেরও। তবে কিছুটা সংশোধন করার পর এফটিপি (আইসিসির সফর সূচি) নতুন যে চেহারা নিচ্ছে, তাতে বেশ লাভবান হলো পাকিস্তান। ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত আইসিসি প্রস্তাবিত এই এফটিপিতে পাকিস্তান এখন ৩০টি টেস্ট খেলবে। পাশাপাশি তারা ৪৩টি ওয়ানডে ও ৪৮টি টি-টোয়েন্টিও খেলবে।

সংশোধিত এফটিপিতে বাংলাদেশের ম্যাচের কোনো হেরফের হয়নি। বাংলাদেশ প্রস্তাবিত এফটিপিতে বেশ লাভবানই হবে। এই সময় বাংলাদেশ ৩৫টি টেস্ট, ৪৫টি ওয়ানডে আর ৪৪টি টি-টোয়েন্টি খেলবে। টেস্ট খেলার সংখ্যায় ভারতের চেয়ে যেমন মাত্র দুটি ম্যাচ কম খেলবে বাংলাদেশ। আবার এই সময়ে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার সমান ওয়ানডে ম্যাচ বরাদ্দ পেয়েছে। বরং অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ৬টি টি-টোয়েন্টি বেশি খেলবে বাংলাদেশ। আইসিসির প্রস্তাবিত সূচিতে উদীয়মান শক্তি বাংলাদেশও এত এত ম্যাচ পেল, অথচ পাকিস্তান কিনা আফগান-আইরিশদের কাতারে; এটি নিয়েও আক্ষেপ ছিলো পিসিবির। ৭ ও ৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে একটি কর্মশালায় সবকটি বোর্ডের প্রতিনিধির অংশগ্রহণের পর এফটিপিতে আরও বেশি ভারসাম্য আনা হয়েছে। তখনই এই সংশোধনগুলো করা হয়। তাতে পাকিস্তানের মোট ১৭টি ম্যাচ বেড়ে যায়। এই চার বছরে পাকিস্তান কমপক্ষে ১২১টি ম্যাচ খেলবে। তিন ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে এই সময় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ বরাদ্দ থাকছে ভারতের জন্য। ভারত খেলবে ১৫১টি ম্যাচ। এর পরই আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৪৯টি ম্যাচ)। এই দুটি দলই রঙিন সংস্করণে বেশি মনোযোগ দেবে এই সময়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেমন সর্বোচ্চ ৬২টি ওয়ানডে খেলবে, ভারত খেলবে ৬১টি। বাংলাদেশ এই চার বছরে খেলবে কমপক্ষে ১২৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কমপক্ষে কথাটা এই জন্যই বলা, এফটিপি মূলত দ্বিপক্ষীয় সফরসূচি। এর বাইরে বোর্ডগুলো নিজস্ব আয়োজনে ত্রিদেশীয় সিরিজ বা কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে পারে। এশিয়ার দলগুলো যেমন খেলে এশিয়া কাপ। এই ম্যাচের হিসাব এর মধ্যে নেই। ফলে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার ম্যাচসংখ্যা আরও বাড়বে। এই সূচি অবশ্য এখনো অনুমোদন হয়নি। সেটি হবে শ্রীলঙ্কায়। নতুন সূচির আর খুব বেশি পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।