আজকের কোমলমতি শিশুরাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে

চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবারের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার: সম্ভাবনাময় একঝাঁক শিশু-কিশোরীর অংশগ্রহণে চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবারের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দুইদিনের এই আয়োজন শেষ হয়েছে। শিশু পরিবারের নিবাসী শামসুন্নাহারের কোরআন তেলওয়াতের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় ও সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। সমাজসেবা অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন। পুরস্কার বিতরণ উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন বলেন, আজকের কোমলমতি এই শিশুরাই আগামী দিনে আমাদের দেশের কা-ারি হবে, দেশকে নেতৃত্ব দেবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি শিশু পরিবারের এই জায়গাটি বড় মায়ার জায়গা, যেজন্য বারবার এখানে আসি। এখানকার নিবাসী শিশুদের উন্নয়নে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।’ অপর বিশেষ অতিথি সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দফতর) আহসান হাবীব বলেন, ‘বার্ষিক প্রতিযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সারাবছর মাঝেমাঝেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা দরকার।’ আহসান হাবীব এতিমখানা সড়কের নাম পরিবর্তন করে শিশু পরিবার সড়ক রাখার প্রস্তাব দেন। এ সময় মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী প্রস্তাবটি কার্যকরে ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেন।
স্বাগত বক্তব্যে সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মোছা. নাছিমা খাতুন বলেন, ‘এখানকার নিবাসীরা আমার কাছে সন্তানের সমতুল্য। গত দুইদিনের আনন্দ-আয়োজন তাদের সঙ্গে নিয়ে মিলেমিশে উপভোগ করলাম।’ সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল সামীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিশু পরিবার পরিচালনা পরিষদের সদস্য রাশেদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ও নিবাসী বিপাশা খাতুন। বিপাশা খাতুন তার বক্তব্যে শিশু পরিবারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে নিবাসীদের জন্য বিকল্প বিদ্যুত ও একটি ফ্রিজের দাবি করে। এ সময় উপস্থিত প্রধান অতিথি শেখ সামসুল আবেদীন খোকন চাহিদানুযায়ী আইপিএস এবং বিশেষ অতিথি পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান কয়েকদিনের মধ্যেই একটি ফ্রিজ দেয়ার ঘোষণা দেন। আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে নিবাসী শিশুদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।