স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর নিশ্চিন্তপুরের বৃদ্ধা আনোয়ারা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার প্রমাণপত্র নিতে এসে তার মিথ্যার আশ্রয়ের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। কলাগাছ পড়ে যে হাত ভেঙেছিলো, সেই ভাঙা হাতের এক্সরে নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসককে বোঝাতে চেয়েছিলেন, গত ২৪ অক্টোবর প্রতিবেশীর মারের কারণে হাত ভেঙেছে। ওইদিন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসাও নেয়া হয়েছে। টিকিট আছে, অথচ টিকিটে সিল নেই। গতকাল সোমবার সিল দিতে এসে তিনি প্রশ্নের মুখে পড়ে ভুল স্বীকার করে কৌশলে সরে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, বৃদ্ধার পাশে একজন ছিলেন, তিনি অবস্থা বেগতিক দেখে অনেক আগেই সটকে পড়েন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসেন আনুমানিক ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। হাতে গত ২৪ অক্টোবর তারিখ লেখা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের একটি টিকিট। যাতে চিকিৎসকের পরামর্শও লেখা। অথচ যে সিরিয়াল নম্বরের টিকিট তা রেজিস্ট্রারের পাতা উল্টে দেখা যায়, ওই দিন ওই নম্বরের টিকিট নেয়া হয়েছে অন্যনামে। চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে ভিন্ন। তা হলে এই বৃদ্ধা ওই টিকিট পেলেন কোথায়? প্রশ্ন উঠতেই বৃদ্ধার পাশে থাকা একজন সটকে পড়ে। বৃদ্ধাকে নেয়া হয় আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কক্ষে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বৃদ্ধা যে মামলার জন্য মিথ্যা বলে চিকিৎসার প্রমাণ নিতে এসেছেন- তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পুলিশে দেয়ারও প্রক্রিয়া শুরু হয়। বয়স বিবেচনা করে একটু সহানুভূতিও পান তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি জীবননগর থানায় মামলার কথা স্বীকার করে পুলিশের কথা মতোই হাসপাতালের প্রমাণপত্র নিতে এসেছিলেন বলে জানান। অবশেষে সুযোগ বুঝে তিনিও সরে পড়েন। তার আগে পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, বাড়ি জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। স্বামী মৃত শামসুল হক।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে টিকিটে সিল লাগাতে আসার পর বৃদ্ধাকে যে পরিস্থতির মধ্যে পড়ে শেষ পর্যন্ত সরে পড়তে হয়, তার বর্ণনা হাসপাতালে উপস্থিত অনেকের নিকট থেকে পাওয়া গেলেও নিশ্চিন্তপুরের প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে অবশ্য জানা সম্ভব হয়নি।