দামুড়হুদার কালিয়াবকরী গ্রামে গৃহবধুকে গণধর্ষনের ঘটনায় ভিকটিমসহ ৪ আসামির ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কালিয়াবকরী গ্রামের মধ্যবয়সী এক গৃহবধুকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমসহ ৪ আসামির ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের নির্দেশক্রমে মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানা ওসি (তদন্ত) জিএম ইমদাদুল হক গত ১৬ ডিসেম্বর ভিকটিম ও এজাহার নামীয় ৪ আসামির মধ্যে ৩ জনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে হেফাজতে নেন এবং ১৭ ডিসেম্বর ঢাকার মালিবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের কালিয়াবকরী গ্রামের খাজের আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫) স্বামীর বসতঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের ৪জন ওই গৃহবধুকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় এবং গ্রামেরই ভাঙ্গার মাঠের নদীর ধারে অবস্থিত গনি বিশ্বাসের লিচু বাগানের মধ্যে ওই গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণ শেষে পাশের একটি ভূট্টাক্ষেতের মধ্যে গৃহবধুকে বেঁধে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু নিজেই হাত-পায়ের বাঁধন খুলে এবং ভোরে বাড়ি ফিরে আসে। রাতে চাঁদের আলোয় ধর্ষণকারীদের চিনতে পারে গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু। ঘটনার একদিন পর ২৪ ডিসেম্বর গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু বাদী হয়ে কালিয়াবকরী গ্রামের জালালের ছেলে রবিউল (৩৬), একই গ্রামের মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে সাদ্দাম (২৬), নূর ইসলামের ছেলে জাফর (২৭) ও কুদ্দুসের ছেলে দুলু (২৮) এ ৪ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করেন মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি লিয়াকত হোসেন। মামলার ২ দিনের মাথায় পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে কালিয়াবকরীর জালালের ছেলে রবিউল ও মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। মামলার অপর দু’আসামি নূর ইসলামের ছেলে জাফর ও কুদ্দুসের ছেলে দুলু ঘটনার পরপরই গাঢাকা দেয়। পরে তাদেরকেও পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ওই ৪ আসামির মধ্যে জালালের ছেলে রবিউল বর্তমানে জামিনে আছে। বাকি ৩জন রয়েছে জেলহাজতে। মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানা ওসি (তদন্ত) জিএম ইমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, আদালতের নির্দেশে গত ১৬ ডিসেম্বর ভিকটিম ও এজাহার নামীয় ৪ আসামিকে ঢাকায় নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।