গাংনীর কাজিপুর শহীদ দিবস অনুষ্ঠানে মকবুল হোসেন এমপি
গাংনী প্রতিনিধি: আগামী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার উপর জোর দিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। তিনি বলেন, বধ্যভূমি, গণকবরসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থাপনাগুলো নতুন প্রজন্মের জন্য ধরে রাখতে হবে। গতকাল রোববার দুপুরে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্তের গণকবরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই, তাকে দিয়ে কোনো ভালো কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিকড় আঁকড়ে ধরেই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথ চলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ে তরুণ-যুবকদের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সন্তানদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৮ শহীদের স্মরণে কাজিপুর গণকবরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। অনুষ্ঠানে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সভাপতিত্ব করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুন্তাজ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল ও গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার আমিরুল ইসলাম, গাংনী সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার নুহু বাঙালি, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান সিপু, জেলা ইটভাটা মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হক, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান আতু, গাংনী উপজেলা যুবলীগসহ দফতর সম্পাদক আব্দুল আলিম ও পৌর যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়াসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও নেতৃবৃন্দগণ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে সাহেবনগর গ্রামের একটি বাড়িতে পাক হায়েনারা ৪ মুজাদিহ সদস্যকে (আনছার) পুড়িয়ে হত্যা করে। এছাড়াও কাজিপুর গ্রামের মাঠে কয়েকজন কৃষককের গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর স্থানীয় নিহত ৪ মুজাদিহ সদস্যসহ ৮জনকে কাজিপুর সীমান্তে কবর দেয়া হয়। তখন থেকেই স্থানটি গণকবর হিসেবে চিহ্নিত।