এমআর বাবু/সালাউদ্দীন কাজল: দীর্ঘ ১৪ বছর পর জীবননগর উপজেলার পুনঃগঠিত উথলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উথলী, মৃগমারী, সেনেরহুদা, একতারপুর, শিয়ালমারী, সন্তোষপুর, রতিরামপুর ও সিংনগর গ্রাম নিয়ে পুনঃগঠিত উথলী ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৪৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ২৫২ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ২০৮ জন। এ উথলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত সদস্য পদ এবং সাধারণ সদস্য পদে মোট ৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থী, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে আব্দুল হান্নান, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকে আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আনারস প্রতীকে আবজালুর রহমান ধীরু, বিএনপির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী চশমা প্রতীকে আসাদুর রহমান ও জামায়াত সমর্থিত (স্বতন্ত্র) মোটরসাইকেল প্রতীকে মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।
১, ২ ও ৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭ জন। সংরক্ষিত এ ওয়ার্ডে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- বই প্রতীকে আঞ্জুআরা আক্তার, হেলিকপ্টার প্রতীকে কুলছন বেগম, বক প্রতীকে ফেরদৌসী আক্তার এবং সূর্যমুখী ফুল প্রতীকে সেলিনা বেগম বুলবুলি। ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭০ জন। এ ওয়ার্ডে মোট ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- জিরাফ প্রতীকে জয়নব বেগম, বক প্রতীকে রেহেনা পারভীন, মাইক প্রতীকে রোমেলা খাতুন এবং কলম প্রতীকে সাহেরা বেগম। ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৫৯৩ জন। সংরক্ষিত এ ওয়ার্ডে মোট ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- জিরাফ প্রতীকে নুরজাহান বেগম, বক প্রতীকে আফরোজা খাতুন, মাইক প্রতীকে মরিয়ম এবং তালগাছ প্রতীকে সাবিনা খাতুন।
সাধারন সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৩ জন। এ ওয়ার্ডে মোট ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- মোরগ প্রতীকে আতিকুর রহমান, ফুটবল প্রতীকে আব্দুল কাদের বিশ্বাস, ভ্যানগাড়ি প্রতীকে জহুরুল হক, টিউবওয়েল প্রতীকে মিজানুর রহমান এবং তালা প্রতীকে লুৎফর রহমান। ২ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ১৯৯ জন। এ ওয়ার্ডে মোট ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- ফুটবল প্রতীকে আশকার আলী, মোরগ প্রতীকে নাজমুল হুসাইন এবং টিউবওয়েল প্রতীকে মঈনুল হাসান। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫ জন। এ ওয়ার্ডে মোট ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- টিউবওয়েল প্রতীকে আবু সায়েম, আপেল প্রতীকে ওবাইদুর রহমান, ফুটবল প্রতীকে মিজানুর রহমান এবং মোরগ প্রতীকে সেলিম রেজা। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৬৫২ জন। এ ওয়ার্ডে মোট ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- মোরগ প্রতীকে মাহাতাব উদ্দীন, ফুটবল প্রতীকে রাসেল হোসেন এবং টিউবওয়েল প্রতীকে সেলিম উদ্দীন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ২২৬ জন। এ ওয়ার্ডে মোট ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- তালা প্রতীকে আব্দুল খালেক, ঘুড়ি প্রতীকে আরমান আলী, টিউবওয়েল প্রতীকে তানজার আলী, ফুটবল প্রতীকে মাহফুজ্জামান এবং মোরগ প্রতীকে শহিদুল হক। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ৮৯২ জন। এ ওয়ার্ডে মোট ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- তালা প্রতীকে আইনাল হক, মোরগ প্রতীকে আশরাফুল ইসলাম, আপেল প্রতীকে বিল্লাল হোসেন এবং ফুটবল প্রতীকে রিপন মিয়া। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯১০ জন। এ ওয়ার্ডে মোট ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- মোরগ প্রতীকে ফরহাদ হোসেন, টিউবওয়েল প্রতীকে আলতাফ হোসেন, ফুটবল প্রতীকে মহিবুল হক এবং তালা প্রতীকে রেজাউল হক। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৫৭ জন। এ ওয়ার্ডে মোট ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- তালা প্রতীকে আব্দুস সাত্তার, ফুটবল প্রতীকে মুনজুর রহমান এবং মোরগ প্রতীকে সেলিম রেজা। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৬২৬ জন। এ ওয়ার্ডে মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- আপেল প্রতীকে আহাম্মদ আলী, টিউবওয়েল প্রতীকে নিমাই হালদার, ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে আমিনুল ইসলাম, ভ্যানগাড়ি প্রতীকে আহাদ আলী, মোরগ প্রতীকে ইছাহক আলী বিশ্বাস, ঘুড়ি প্রতীকে মনিরুল ইসলাম, তালা প্রতীকে রেজাউল হক, ফুটবল প্রতীকে সুমন মিয়া এবং বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে রফিকুল ইসলাম।