আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় নবম শ্রেণির ছাত্রকে চাকু মেরে রক্তাক্ত আহত করেছে তার সহপাঠীরা। গতকাল মঙ্গলবার ডিগ্রি কলেজ গেটের মুখে ওই ঘটনা ঘটে। আহত পার্থিবকে রক্তাক্ত অবস্থায় শহরের ফাতেমা টাওয়ার হাসপাতালে এনে তার কোমর থেকে চাকু বের করা হয়। রাতে হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী হারুন জানায়, সন্ধ্যায় ডিগ্রি কলেজের ভেতরে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ইফাজ, রাজ ও শাকিলের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। সেখানে পার্থিবও উপস্থিত ছিলো। এসময় ইফাজ তার অপর বন্ধু অভিকে ডেকে নেয়। এ পর্যায়ে উপস্থিত মধ্যস্থতাকারী হারুন একটি মোটরসাইকেলে ইফাজকে তুলে দিয়ে স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। ইফাজ কলেজের গেটে আসলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনের মধ্যে থানাপাড়ার দেলোয়ারের ছেলে মিয়াদ তাদেরকে গতিরোধ করে। তারা গাড়ি থামানো মাত্র মিয়াদ ও সেখানে থাকা কয়েকজন ইফাজকে কিলঘুষী মারতে থাকে। পেছনে থাকা পার্থিব ও অভি মারামারি ঠেকাতে এগিয়ে যায়। পেছন থেকে পার্থিবের কোমরে চাকু মারা হয়। মিয়াদ দ্বন্দ্বে জড়ানো ছাত্রদের সাথে পড়াশোনা করে না। সে ছাত্রও না। দ্বন্দ্বে জড়ানো কোনো ছাত্র মিয়াদকে ডেকে নিয়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা ধারণা করে বলেছে। আহত পার্থিব জানায়, তার সাথে কারো কোনো দ্বন্দ্ব নেই। ইফাজ, রাজ ও শাকিলের ভেতরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারা মারামারি করার সময় সে আর অভি সেখানে উপস্থিত ছিলো। মারামারি ঠেকাতে যাওয়ায় তাকে চাকু মারা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।