মহেশপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার : মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগিতায় মামলা দায়ের

মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার, প্রভাবশালীদের মামলা করতে বাধা, অবশেষে মানবাধিকার সংগঠন আরডিসি’র সহযোগিতায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রেজাউলের ছেলে রাসেল একই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে তাদের বাড়ির পাশ থেকে গত ২৭ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৭টায় জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে নিয়ে যেয়ে মাঠের মধ্যে এক সেগুন বাগানের ভেতর তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য এসিড মেরে জ্বলসে দেয়ার হুমকি দেয়। ভিকটিমের মা অসুস্থ জনিত কারণে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। বাড়িতে থাকা তার বৃদ্ধ নানি বিষয়টি স্থানীয় কাজীরবেড় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে জানালে তারা সালিশের নামে ৮-১০ দিন থামিয়ে রাখে। গত রোববার সালিশ বসিয়ে ভিকটিমের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দেয়। ভিকটিমের পরিবার সালিশ মানতে অসম্মতি জানালে তার পরিবারকে অপমান করা হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল মামলার আলামত নষ্ট করার জন্য তারা কৌশলে বাদীপক্ষকে আইনের আশ্রয় নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। গত সোমবার ভিকটিমের পরিবার থানায় মামলা করতে আসলে তাদেরকে পথিমধ্যে ফিরিয়ে দেয়া হয়। মানবাধিকার সংগঠন আরডিসি’র হটলাইনে সংবাদ আসলে সংগঠনের পক্ষ থেকে ভিকটিম পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে গতকাল মঙ্গলবার মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয় কাজীরবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বিএম সেলিম রেজার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি, সালিশের সত্যতা স্বীকার করে বলেন মেয়ে পক্ষ রাজি না থাকায় মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি আহাম্মেদ কবির জানান, তারা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আসামিকে আটকের জোর চেষ্টা চলছে।