চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের উদ্যোগে সফল ব্যবসায়ী টরিক-দিলীপের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, একটি জেলাকে উন্নয়নের নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে শুধু সরকারের মুখের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এ জেলা আপনাদের। তাই নিজ জেলাকে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে উন্নয়নের এক নম্বরে দেখতে হলে সকলকে উন্নয়ন কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার ভবনে আয়োজিত সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের (বিডিচ্যাম) সভাপতি আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক ও বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এমন কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার মানুষ এমনিতেই পজিটিভ চিন্তা চেতনার। গত ৭ মাসে আমি আমার কর্ম তৎপরতার মধ্যদিয়ে তার প্রমাণ পেয়েছি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক উন্নয়নের ব্যাপারে এক প্লাটফর্মে দাঁড়ালে চুয়াডাঙ্গা জেলা হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি রোল মডেল। চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে সংবর্ধিত অতিথি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র পরিচালক, বাংলাদেশ জুলেয়ারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি চুয়াডাঙ্গার সন্তান। এ জেলার প্রতি আমার দায়বদ্ধতা অনেক। ইতমধ্যে বেশ কিছু উন্নয়নে আমি সহযোগিতা করেছি। চুয়াডাঙ্গার যে কোনো উন্নয়নে আমাকে তার সম্পৃক্ততারও প্রতিশ্রুতি দেন শীর্ষ এ ব্যবসায়ী নেতা। সংবর্ধিত আরেক ব্যবসায়ী সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের (বিডিচ্যাম) সভাপতি ও সাহেদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক তার বক্তব্যে বলেন, ভালো কাজে কি পেলাম এটা কখনো খুঁজবার চেষ্টা করিনি। সব সময় চেষ্টা করি মানুষের কল্যাণে কাজ করার। তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করতে আসিনি, কখনো করবোও না। আমি চুয়াডাঙ্গার সন্তান আমি আপনাদের সন্তান। তাই কোনো উন্নয়নের খবরে সুুদূর প্রবাসে থেকেও বসে থাকতে পারি না। ছুটে আসি জন্মভূমির টানে। তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশে বলেন, আসুন সকল ভেদাভেদ ভুলে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা সবাই এক প্লাটফর্মে এসে কাজ করি। এসময় তিনি বলেন, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলোরে’। চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে যদি কেউ আমার সাথে না আসে তাহলে আমি আমার সাধ্যমত জেলার উন্নয়নে কাজ করবো। চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সচিব সাংবাদিক খাইরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল ইমাম হাসান। তিনি বলেন আমি চুয়াডাঙ্গাকে মাদকমুক্ত করতে, যুব সমাজকে বাঁচাতে চাই। তাই আপনাদের সহযোগিতা চাই। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, ও চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি রাজনীতি ব্যক্তিত্ব তৌহিদ হোসেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহরিন হক মালিক, সহসভাপতি মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ, পরিচালক সালাউদ্দীন মর্তূজা, একেএম সালাউদ্দীন মিঠু, এসএম তসলিম আরিফ বাবু, তাজুল ইসলাম তাজু, হারুন-অর-রশিদ, নীল রতন সাহা, আরিফ হোসেন জোয়ার্দ্দার সোনা, সেলিম আহম্মেদ, সুরেস কুমার আগরওয়ালা, এএনএম আরিফ, কামরুল ইসলাম হীরা ও কিশোর কুমার কু-ু। সংবর্ধনার আগে সংবর্ধিত দুই অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা চেম্বার ভবনে এসে পৌঁছুলে তাদেরকে প্রথমেই চেম্বারের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে সংবর্ধিত দুই অতিথিকে সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়। এর আগে, ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র, বিজিএমইএ, এফবিসিসিআই, সার্ক চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত আনিসুল হক, চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের পরিচালক প্রয়াত জাহাঙ্গীর হোসেন জোয়ার্দ্দার বাদশা ও চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত মোজাম্মেল হকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।