উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বিলাল হুসাইন গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় তাফসিরুল মাহফিলের প্রধানবক্তাকে নিয়ে বিরোধের জেরে ভাঙচুরের মামলা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সেক্রেটারি বিলাল হুসাইনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলমডাঙ্গায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে এক বক্তাকে নিয়ে বিরোধের জেরে শহরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গত সোমবার দিনগত রাতে তাকে বাড়ি থেকে আটক করে।
জানা গেছে, গত সোমবার দিনগত রাতে আলমডাঙ্গা থানার এসআই জিয়া, এসআই পিয়ার আলী ও এসআই শাখাওয়াত এক অভিযান চালিয়ে উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের হাড়গাড়ি গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে বিলাল হুসাইনকে (৫৯) আটক করে। বিলাল হুসাইন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সেক্রেটারি। গত বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে এক বক্তাকে নিয়ে বিরোধের জেরে শহরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করেছে। ওই একই ঘটনায় ইতঃপূর্বে গত ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার এরশাদপুরের রমজান আলীর ২ ছেলে যথাক্রমে মারফত আলী (২৯) ও শরিয়তুল ইসলাম (২৭), একই গ্রামের হরিবর রহমানের ছেলে নাট্যকর্মী রাজিবুল ইসলাম (৩৪), কালিদাসপুরের আকরাম হোসেনের ছেলে সুমন (৩৪), আসাননগরের ঈদগাপাড়ার নূরুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২২) ও একই গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে আবুল কালাম (২১)।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গার আনন্দধাম সড়কের পল্লী বিদ্যুত অফিসের পেছনের মাঠে নবনির্মিত মসজিদের সাহায্যার্থে ৩দিনব্যাপী তাফসির মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ২য় দিনের তাফসির মাহফিলে প্রধানবক্তা আমীর হামজার বক্তব্য দেয়ার ঘোষণায় হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটে। মাহফিল আয়োজনে থানা পুলিশ অনুমতি দিলেও বিতর্কিত তাফসিরকারক আমীর হামজাকে আনতে পুলিশ আগে থেকেই নিষেধ করেছিলো। কিন্ত মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বৃস্পতিবার রাত পৌঁনে ১১ টায় আয়োজকদের একটি অংশ হঠাৎ করেই আমীর হামজাকে প্রধানবক্তা হিসেবে মঞ্চে তোলেন। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজকদের কাছে আমীর হামজাকে বক্তব্য দিতে নিষেধ করা হয়। এর কয়েক মিনিটের মাথায় আমীর হামজা মঞ্চ থেকে নেমে যান। মাহফিল ভেঙে যায়। এ ঘটনায় তাফসির মাহফিলে আগত মুসল্লিদের ভেতর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধরা বাড়ি ফেরার পথে শহরের চারতলামোড়, আলতায়েবা মোড়সহ প্রধান সড়কের তিনটি সিসি ক্যামেরা ও চারতলার একটি মিষ্টির দোকানের বেসিন ভাঙচুর করে। স্থানীয় সত্য নারায়ণ মন্দিরের সামনে সিসি ক্যামেরা ভাঙার সময় ইটের বেশ কিছু টুকরো মন্দিরের ভেতরের চত্বরে গিয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটিসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে গত শুক্রবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানায় মামলা করেছেন।

Leave a comment