জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ায় রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ : প্রশাসনের বাধা

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ার মীরপাড়ায় দু’সহোদরের বিরুদ্ধে গাছের গোড়া কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সকালে প্রকাশ্যে গাছের গোড়া কাটাকালে পুলিশ ও স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তার বাধা পেয়ে গাছকাটা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। গাছ কাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে পুলিশ ও ভূমি কর্মকর্তা স্থান ত্যাগ করার পর কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ফের গাছের মূলকা- কাটার কাজ বেশ জোরেসোরে চলছিলো। মূলকা- কেটে দেয়ায় গাছটি ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সরকারি গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়া হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া মীরপাড়ায় হঠাতপাড়া সড়কের পাশে মৃত আলম ম-লের বাড়ির সামনে রয়েছে একটি মূলবান আমগাছ। গাছটি সরকারি গাছ বলে মহল্লাবাসী দাবি করে আসছেন। মীরপাড়ার মৃত আলম ম-লের ছেলে রাজ্জাক (৩৩) ও সাজ্জাদ (৩০) গতবছর ঘরের ওপর ডালপালায় ক্ষতিগ্রস্ত করার অজুহাত তুলে গাছটির ডালপালা কেটে ন্যাড়া করে দেয়। গতকাল সোমবার গাছটি কিনেছি বলে দাবি করে গোড়া খুড়ে মূলকা- কেটে গুড়ি কাটার কাজ করছিলো। বেলা সাড়ে ৯টায় খবর পেয়ে শাহাপুর ক্যাম্পের টুআইসি এএসআই রাহাত সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দাগণ গাছটি সরকারি বলে দাবি করায় তিনি গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে জীবননগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সেলিম রেজা স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ পেয়ে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাদ আহম্মদ সরকারি রাস্তার গাছ দাবি করে গাছা কাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। সূত্র জানান, পুলিশ ও ভূমি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে অভিযুক্তরা সাময়িক গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়। তারা চলে যাওয়ার পর অভিযুক্তরা ফের গাছ কাটার কাজে মেতে ওঠে। বেলা সাড়ে ১২টায় সরেজমিনে গিয়ে গাছ কাটাকালে রাজ্জাক ও সাজ্জাদকে পুলিশ ও ভূমি কর্মকর্তা গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়ার পর কাটছেন কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে দু’সহোদর বলেন, আমরা গাছটি কিনেছি। কার কাছ থেকে কিনেছেন জানতে চাইলে দু’সহোদর কোনো উত্তর দিতে পারেনি। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাদ আহম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গাছটি সরকারি। গত বছর গাছটির ডালপালায় ঘরের ক্ষতি করার অজুহাত তুলে ডালপালা কেটে ন্যাড়া করে দেয়। গাছের গোড়া কাটার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের গাছকাটা থেকে বিরত থাকতে বলে এসেছি। গাছটির মূল্য প্রায় ১৫ হাজার টাকা বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু ও দফতর সম্পাদক শেখ আতিয়ার রহমান অভিন্ন ভাষায় বলেন, আমরা পাড়ার বাসিন্দা হিসেবে গাছটি সরকারি বলে জানি। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সেলিম রেজা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় তহশীলদারকে সরেজমিনে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।