জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের তিনটি বড় গাছ ভ্যাটসহ মাত্র ৬৫ হাজার ৪শ’ টাকায় বিক্রি করার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে নড়ে-চড়ে বসেন। জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ পেয়ে তদন্তের পর ইউএনও সেলিম রেজা কর্তৃক গাছটি জব্দ করে দর্শনা ডাকবাংলোতে হেফাজতে পাঠিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার এ জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের মনোহরপুর বাঁকে প্রাইয়শ দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে থাকে। এ অবস্থায় মারাত্মক ওই বাঁক সোজা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ফলে রাস্তার একাপার্শ্বে প্রশস্তা করা হয়। রাস্তা প্রশস্ত করার কারণে ১টি শিশুগাছ, ১টি মেহগনি ও ১টি রেইনট্রি গাছ অপসারণের দরকার হয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সার্ভে করে ওই ৩টি গাছের মূল্য নির্ধারণ করে মাত্র ৫৫ হাজার ৫৭৯ টাকা ৩৯ পয়সা। নিলাম কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা মূল্য নিয়ে তার সাথে ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সর্বমোট ৬৫ হাজার ৪শ’ টাকায় কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কামিরহাট গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আনিচুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। গত ১৬ অক্টোবর রাজশাহী নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ (সওজ) পলাশ সরকার স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর ধারণা ওই তিনটি গাছের প্রকৃত মূল্য সাড়ে তিন থেকে ৪ লাখ টাকা। যে সকল ব্যক্তি গাছের মূল্য সার্ভে করেছিলো তারা সঠিক দাম আড়াল করে নামমাত্র মূল্য দেখিয়ে সওজ তথা সরকারকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। এ বিষয়ে গত ৫ ডিসেম্বর দৈনিক মাথাভাঙ্গায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নিদের্শ দেন। নির্দেশ পেয়ে ওই কর্তিত গাছ জব্দ করে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে নিশ্চিত করেছেন।