কবীর হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও এক মাসেও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

স্টাফ রিপোটার: জীবননগরের ভারত সীমান্তবর্তী রাজাপুর গ্রামের কবীর হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে দাপটের সাথে ঘুরলেও গত এক মাসেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রভাবশালী আসামিরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বাদী ও সাক্ষীদের মামলা তুলে নিতে নানা হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আসামিদের হুমকির মুখে বাদী ও সাক্ষীগণ ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বাদী নিরুপায় হয়ে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার নবগঠিত মনোহরপুর ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী রাজাপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে কবীর হোসেন (৪৫) গত ১২ নভেম্বর বেলা আড়াইটায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইলফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বেলা ৩ টায় গ্রামের নিমাই ম-লের ছেলে জহুর ম-ল বাড়িতে এসে খবর দেন রাজাপুর মাঠের বাংলাদেশ-ভারত সীমানা পিলার সঢ়-৭১-৩/ং হইতে আনুমানিক ১০ ফুট বাংলাদেশের মধ্যে আব্দুল খালেক ম-লের ছেলে কাছেদ আলীর জমির ওপর ছটাঙ্গা গ্রামের ব্যাকা হুজুরের ছেলে জহুরুল (৪৫), সনে ম-লের ছেলে জিয়ারুল (৫৫), মানিকপুর গ্রামের হোসেন দফতারির ছেলে ঠা-ু (৫৫), গফুর আলীর ছেলে শরিফ (২৫) ও রাজাপুর গ্রামের আবুল বারীর ছেলে বাশার (৩৪) সহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন কবীরকে ধারালো অস্ত্র দিয়া কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করেছে। খবর পেয়ে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে আসামিগণ পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় আহত কবীরকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানার এসআই নাহিরুল ইসলামের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় মামলার বর্তমান অবস্থা জানা সম্ভব হয়নি।