অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খান- ফজলুর রহমান প্যানেলের নিরাঙ্কুশ জয়লাভ

বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ও সাধারণসভা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ও ৪৫ তম বার্ষিক সাধারণ সভা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে অ্যাড. সেলিম উদ্দীন খান ও ফজলুর রহমান পরিষদ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। উৎসব মুখোর পরিবেশে ইউনিটের ১৩৬৪ ভোটারের মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনসহ ৯৭৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) তরিকুল ইসলামসহ জেলার কর্মকর্তাদের অনেকেই নির্বাচন পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের নির্বাচন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে দুটি প্যানেলভুক্ত হয়ে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাজি অ্যাড. সেলিম উদ্দীন খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তার প্যানেলভুক্ত তথা তার পরিষদের সেক্রেটারি পদে বর্তমান সেক্রেটারি ফজলুর রহমান ৬৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ুন কবীর মালিক পেয়েছেন ২শ ৫৪ ভোট। সদস্যদের মধ্যে বিজয়ী প্যানেলের শহিদুল ইসলাম শাহান সর্বোচ্চ ৭০৩ ভোট পেয়ে প্রথম, হাজি অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন ৬৫৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম ৫৬০ ভোট পেয়ে তৃতীয়, হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার ৫৪৩ ভোট পেয়ে চর্তুর্থ ও অ্যাড. মোল্লা আব্দুর রশিদ ৫২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরজিত প্রার্থীদের মধ্যে সদস্য পদে আবুল কালাম আজাদ ২২৪ ভোট, লিটু বিশ্বাস ২৯৪ ভোট, হাবিবুল্লাহ জোয়ার্দ্দার ছটি ৩১৮ ভোট, তছলিম উদ্দীন ফিরোজ ৩৭৮ ভোট ও নূরুন্নাহার কাকলী ২৭৩ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচিত কমিটি আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তিন বছর দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাড. মনিরুজ্জামান ও কমিশনার হিসেবে ছিলেন অ্যাড. এমএম মনোয়ার হোসেন ও অ্যাড. কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার। নির্বাচন কমিশনারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইউনিট অফিসার সাঈদ মোহাম্মদ শামীম রহমান। রেজিস্ট্রেশনের জন্য দুটি স্থান রাখার কারণে সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়াতে হয় ভোটারদের। তবে গোপন ব্যালটে ভোট দেয়ার জন্য বুধের সংখ্যা পর্যাপ্ত থাকায় সেখানে ভোটারদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়নি। মোট ৯৭৫ জন ভোটার ব্যালট গ্রহণ করেন। গণনায় পাওয়া যায় ৯৭১টি ভোট। বাতিল ভোটের সংখ্যা ৩২টি। নির্বাচনের পাশাপাশি ইউনিট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক সাধারণ সভা। সভায় সেক্রেটারি বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন। সভাপতিত্ব করেন ইউনিটের চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন। উপস্থিত ছিলেন সদস্য রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, অ্যাড. শামসুজ্জোহা পিপি, আজাদ মালিতা, ফেরদৌসওয়ারা ছুন্না, মাহমুদা জামান পলি ও হুমায়ুন কবীর মালিক। সাধারণ সভার এক পর্যায়ে ইউনিটের ব্লাড ব্যাংক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ট সদস্যরা। এ সময় জেলা পরিষদের তহবিল থেকে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান বরাদ্দদাতা শেখ সামসুল আবেদীন খোকন।
নির্বাচনে নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকে। এদের মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এমপি, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহা পিপি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি আজাদ মালিতা ও সাধারণ সম্পাদক ফাইজার চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু, ক্রীড়া সংগঠক শফিকুল ইসলাম বদা, জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল আলম নান্নু প্রমুখ।