আলমডাঙ্গা নিজ গ্রাম ভাংবাড়িয়া চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কবি সদরউদ্দীন

আসমানখালী প্রতিনিধি: সকলের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আর ভক্তদের কাঁদিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কবি কাজি ডা. সদরউদ্দীন (৮২)। আলমডাঙ্গার নিজ গ্রামে ভাংবাড়িয়ায় তিনি গতপরশু শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্রেনস্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি…………রাজেউন)। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতি কবি সাহিত্যিক খন্দকার অ্যাড. হামিদুল ইসলাম আজম সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে শোকপ্রকাশ করে তিনি বলেন কবি সদরউদ্দীন আজ মৃত্যুবরণ করেছেন আমাদেরকেও একদিন এই মৃত্যুর সাধ গ্রহণ করতে হবে। আর একজন কবি আমাদের সংগঠন থেকে চির বিদায় নিলেন। সদরউদ্দীন ছিলেন একজন সাহিত্যপ্রেমী, তার মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি। চুয়াডাঙ্গা জেলা লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদক কবি মুয়নুল হাসান বলেন, কবি সদরউদ্দীন ছিলেন একজন মিষ্টি মুখি কবি, তিনি আমাদের লেখক সংঘের অনুষ্ঠানে আসতেন এবং মধুময় মুখি কবিতা আবৃত্তি করতেন, তিনি কখনো কোনো রাজনীতি করতেন না। তিনি ছিলেন একজন কবি সাহিত্যপ্রেমী যার মিষ্টি মধুর হাসিতে মাতিয়ে রাখতেন লেখক সংঘের অনুষ্ঠানকে। আমি ও আমরা সবাই চুয়াডাঙ্গা জেলা লেখক সংঘের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করছি এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। দামুড়হুদা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি আব্দুল আলিম বলেন, কবি সদরউদ্দীনের মৃত্যুতে পরিষদের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করছি এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা কারছি। দৈনিক মাথাভাঙ্গার আসমানখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক কবি শাহাদাৎ হোসেন লাভলু বলেন, কবি ডা. সদরউদ্দীন আমার ওস্তাদ আর আমার সাহিত্য পিতার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি। তিনি আমাকে হাতে কলম ধরিয়ে কবিতার লাইন লেখানো, ছন্দ, তাল মাত্রা শিখিয়েছেন। আজ আমার সাহিত্য পিতা আর নেই। গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ৫ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য ভক্তদের রেখে গেছেন।
জীবনী, তার অসংখ্য কবিতা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে তিনি গল্প ও কবিতার বই প্রকাশ করেছেন।