মেহেরপুর আদলতপাড়ায় শাশুড়ির চোখ উপড়ানোর চেষ্টা ॥ জামাইসহ আটক ২

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে জামাই ক্ষিপ্ত হয়ে শাশুড়ির চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা জামাই আনারুল ইসলাম ও তার পিতা ফজলুল হককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। আহত শাশুড়ি রেলে খাতুনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর আইনজীবী ভবনের সামনে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামের আনোয়ারুল হোসেনের মেয়ে সানোয়ারা খাতুনের (২৪) সাথে কয়েক বছর আগে সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের শেখপাড়ার ফজলুল হকের ছেলে আনারুল হকের (৩০) বিয়ে হয়। পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় গত বছর স্ত্রী সানোয়ারা খাতুন মেহেরপুর জজ আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। গতকাল মঙ্গলবার ছিলো মামলার দিন। উভয়পক্ষ এদিন আদালতে সাক্ষী ও হাজিরা দিতে এলে জামাই আনারুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে শাশুড়ি রেলে খাতুনের (৪৭) ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে শাশুড়ির চোখ তুলে নেয়ার চেষ্ঠা চালায়। এসময় স্থানীয় জনতা ছুটে এসে জামাই আনারুল ইসলাম ও তার পিতা ফজলুল হককে আটক করে পুলিশে দেয়। আহত শাশুড়ি রেলে খাতুনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির জন্য নেয়া হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার চোখে যতেষ্ঠ আঘাত হয়েছে। তবে এযাত্রায় তিনি চোখ ফিরে পেতে পারেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল আলম জানান, জামাই আনারুল ইসলাম ও তার পিতা ফজলুল হককে আটক রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শুনেছি আইনজীবী ভবনের সামনে জামাই শাশুড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।