জুড়ানপুর ইউপির মহিলা মেম্বার দেলোয়ারা খাতুনের কাণ্ড : নিজ কন্যার নাম প্রতিবন্ধীর তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়নের ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য দেলোয়ারা খাতুন। তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে অসহায় দরিদ্র প্রতিবন্ধীদের নাম তালিকাভুক্ত না করে প্রতিবন্ধী তালিকায় নিজ কন্যা তহমিনা খাতুনের নাম অর্ন্তভুক্ত করে টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী বলেছেন, ওই ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন প্রকৃত প্রতিবন্ধী রয়েছে। অথচ তাদের নাম তালিকাভুক্ত না করে নিজের মেয়েকে চিকিৎসক কর্তৃক মৃদু শারীরিক প্রতিবন্ধীর প্রত্যয়ন নিয়ে ওই ভাতা উত্তোলন করছেন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য দেলোয়ারা খাতুন উত্তেজিত হয়ে মোবাইলফোনে উপজেলায় আগুন ধরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে দেখে নেয়ার হুমকিও দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ারা খাতুন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্র প্রতিবন্ধীদের নাম তালিকাভুক্ত না করে নিজের মেয়ের নাম অর্ন্তভুক্ত করে টাকা উত্তোলন করেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বিষয়টি গতকাল সোমবার দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ছানোয়ার হোসেনের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নিজের মেয়ের নাম দিয়েছে এটা আমার জানা নেই। তিনি এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহিলা মেম্বারের সাথে মোবাইলফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে মহিলা মেম্বার দেলোয়ারা খাতুন সমাজসেবা অফিসারকে বলেন, আমার মেয়ের কার্ড যদি বাতিল করেন তাহলে আপনার চাকরি খেয়ে নেবো এবং উপজেলায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে। এ বিষয়ে ২নং সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য আইন উদ্দীন বলেন, আমার জানা মতে যে মেয়ে প্রতিবন্ধীভাতার টাকা পাচ্ছে তার চেয়েও অনেক দুস্থ্য প্রতিবন্ধী ওই ওয়ার্ডে আছে। অথচ তাদের নাম বাদ দিয়ে নিজের মেয়ের নামে কার্ড করে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি মেনে নেয়ার মতো নয়। এ সমস্ত কারণেই মানুষ জনপ্রতিনিধিদের খারাপ বলে। তা ছাড়া ওই মেয়ে প্রকৃত প্রতিবন্ধীও না। সে ভালোভাবে হাটা-চলা করতে পারে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।