ব্রিজবেন দুর্গে আরেকটি জয়ের কাছে অস্ট্রেলিয়া

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সেই ১৯৮৮ সালে ব্রিজবেনে অ্যালান বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলো ভিভ রিচার্ডসের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর থেকে ক্রমেই এই মাঠ হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার দুর্গ। গত ২৮ বছরে এই মাঠে স্বাগতিকরা টেস্ট হারেনি একটিও। এবার অ্যাশেজের শুরুর টেস্টেও সেই দুর্গে উড়ছে অস্ট্রেলিয়ান পতাকাই। জয়টা স্রেফ এখন সময়ের ব্যাপার। সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের জন্য শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার চাই মাত্র ৫৫ রান, হাতে সব কটিউইকেট। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রোববার চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ২৬ রানের লিড পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭০ রান। শুরুর জুটিই দলকে নিয়ে যাচ্ছে সেই লক্ষ্যের কাছে। দিন শেষ করেছে তারা বিনা উইকেট ১১৪ রানে।

২ উইকেটে ৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড। মার্ক স্টোনম্যান ও জো রুট শুরুর সময়টা কাটিয়ে দেন নিরাপদেই। কিন্তু চিত্র পাল্টে দেন নাথান লায়ন। গোটা ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করা অফ স্পিনার ফিরিয়ে দেন দুই বাঁহাতি স্টোনম্যান (২৭) ও ডাভিড মালানকে। আগের দিন দুই উইকেট নেওয়া জশ হেইজেলউড এরপর ইংল্যান্ডকে দেন সবচেয়ে বড় ধাক্কা। এলবিডব্লিউ করে দেন ৫১ রান করা অধিনায়ক রুটকে। মইন আলি উইকেটে গিয়ে চেষ্টা করেন পাল্টা আক্রমণের। তাকে সঙ্গ দেন জনি বেয়ারস্টো। নতুন করে আশা জাগে ইংল্যান্ডের। দুজনের জুটি যখন কেবল জমে উঠেছে, আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান সেই লায়ন। ৪০ রানে স্টাম্পড মইন।তৃতীয় আম্পায়ার নিউ জিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফানির দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য বিতর্কের অবকাশ আছে যথেষ্টই। বারবার টিভি রিপ্লে দেখেও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিলো না। ‘বেনিফিট অব ডাউট’ যাওয়ার কথা ব্যাটসম্যানের পক্ষে। তবে গ্যাফানির কাছে মনে হয়েছে নিশ্চিত আউট।

ক্রিস ওকসকে নিয়ে এরপর লড়াইয়ের চেষ্টা চালান বেয়ারস্টো। কিন্তু তখনও পর্যন্ত উইকেটশূন্য মিচেল স্টার্ক জ্বলে ওঠেন। এই দুজনসহ বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের ছোবলে ফেরেন স্টুয়ার্ট ব্রডও। বাউন্সারে ইংলিশ ইনিংসের ইতি টানেন প্যাট কামিন্স। ১৭০ রান তাড়ায় কাজ সেরে ফেলার পথে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নতুন উদ্বোধনী জুটিই। দ্বিতীয়বার একসঙ্গে জুটি বেঁধেই দুজন তুলেছেন শতরান। অভিষিক্ত ক্যামেরন ব্যানক্রফট অপরাজিত ৫১ রান করে। ডেভিড ওয়ার্নার শেষ দিন শুরু করবেন ৬০ রানে।