২১ দফার ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে

 গাংনীতে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. সুসান্ত দাস 
গাংনী প্রতিনিধি: রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রশিক্ষিত কর্মী ছাড়া গরিব মেহনতি জনগণের রাজনৈতিক সংগ্রাম এগিয়ে নেয়া যাবে না। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে হলে শ্রমজীবী মেহনতী মানুষই হবেন সেই লড়াইয়ের অগ্রবর্তী বাহিনী। মেহেরপুর গাংনী উপজেলা মিলনায়তনে কর্মী প্রশিক্ষণে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য অধ্যাপক ড. সুসান্ত দাস।
ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় মতাদর্শ ও প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে বৃহত্তর কুষ্টিয়া (কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর) জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে গতকাল শুক্রবার ওই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান প্রশিক্ষকের বক্তব্যে ড. সুসান্ত দাস বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন আঘাতপ্রাপ্ত হবার মূলকারণ- কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণে লুটেরা স্বার্থবাদীদের শাসক দলগুলো সে দায়িত্ব নেয়নি। তাঁদের ব্যর্থতাকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন জাতির জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। এ হুমকি যেমন মোকাবেলা করতে হবে তেমনি ওয়ার্কার্স পার্টির ২১ দফার ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন পলিট ব্যুরো সদস্য মেহেরপুর-২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী নুর আহমদ বকুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক পাভেল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান, মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মাবুদ, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি ফজলুল হক বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ সরকার, চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি কমরেড সিরাজুল ইসলাম শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী। প্রশিক্ষণে তিন জেলার শতাধিক সদস্য অংশ গ্রহণ করেন।