জীবননগরের কাশীপুর গ্রামের জনসভায় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হাশেম রেজা
স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশীপুরে জনসভায় হাশেম রেজা বলেছেন, ‘আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই আমাদের চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের পুনর্বিজয়ের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যতো দূর দেখা যায় এ জেলার আমাদের দলের দুই সাংসদ কেউ কারো মুখ দেখতে চান না, কেন এই বেরী পরিবেশ আপনারা তৈরি করেছেন। জনগণের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে দলের ক্ষতি করার জন্য এ জেলার দীর্ঘ অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষ আপনাদেরকে বিপুল ভোটে জিতিয়ে মহান জাতীয় সংসদে পাঠাননি। ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে হলেও এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য কিছু করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত উন্নয়নের ছিটে ফোটাও আপনারা আনতে পারেননি, বা করে দেখাতে পারেননি। সামনে জাতীয় সংসদের একাদশ নির্বাচন একবছর বাকি। সেই নির্বাচনে এখানকার জনগণকে কী জবাব দেবেন। চুয়াডাঙ্গার মানুষ আপনাদের কাছে কাজের হিসাব চায়।’ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সহ-সম্পাদক জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ সম্পাদক হাশেম রেজা গতকাল বিকেরে কাশীপুর গ্রামের জনসভায় এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জীবননগরের কেডিকে ইউনিয়ন যুবলীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা বখতিয়ার রহমান। জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হাশেম রেজা চুয়াডাঙ্গার দু’সাংসদকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ। এখনও দলের বিভাজন দূর করুন। নইলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমুন্নত রাখতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ভুলুন্ঠিত হবে। এর জবাব কেউ দিতে পারবেন না আমি জানি, তার পরেও বলি সবাই নিজের থেকে দলের স্বার্থকে গুরুত্ব দিন, নাহলে দল যদি আবার ক্ষমতায় না আসে, তাহলে কেউ ভালো থাকতে পারবেন না। ঐক্যবদ্ধ ভাবে নৌকায় ভোট দিয়ে পুনরায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি। সাংবাদিক আজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, সরফরাজ উদ্দীন, জেলা মৎসজীবী লীগের সহ-সভাপতি সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা শাহবুদ্দীন আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা সাজেদুর রহমান কাদের প্রমুখ।