স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের পোশাক বাণিজ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রীদের পোশাক প্রতিষ্ঠান বানানোর দায়িত্ব নেয়ায় এ ক্ষোভ দেখা দেয়। ৭-৮শ’ টাকা মূল্যের পোশাকের জন্য ছাত্রীদের কাছ থেকে কর্তৃপক্ষ আদায় করেছে ১ হাজার ৫শ’ ৩৫ টাকা। তবে কর্তৃপক্ষের হাতে পাস-ফেল নির্ভর করায় মুখ ফুটে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কতিপয় ছাত্রী নার্স জানান, চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (এনটিসি) ১১৪ জন ছাত্রী রয়েছে। সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আসে শাদা ইউনিফর্মের পরিবর্তে জলপাই রংয়ের কামিজ ও কালো রংয়ের সালোয়ার পরিধানের। এ সুযোগে চুয়াডাঙ্গা এনটিসি অবৈধভাবে ছাত্রীদের কাছ থেকে পোশাক তৈরির জন্য ১ হাজার ৫শ’ ৩৫ টাকা আদায় করে। যার পোশাক সেই বানানোর বিধান থাকলেও বাণিজ্যের মনোভাব নিয়েই এনটিসি কর্তৃপক্ষ পোশাক তৈরির দায়িত্ব নেয় বলে অভিযোগকারীরা জানান। পোশাক তৈরির দায়িত্ব নিয়ে এনটিসির কর্মকর্তারা বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগকারীরা জানান। তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানের দু’ছাত্রী বাইরে থেকে একই ড্রেস বানিয়েছে মাত্র ৭শ’ থেকে ৯শ’ টাকায়। সেখানে শতাধিক ছাত্রীর ড্রেস একত্রে বানানো হলে আরও কম টাকায় হওয়ার কথা। অভিযোগকারীরা পোশাক বাণিজ্যের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। পোশাক তৈরির ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা এনটিসির হাউস কিপার শামীমা আখতার জানান, যাতে সবার একই ধরনের পোশাক হয় এ কারণেই আমরা দায়িত্ব নিয়ে ড্রেস তৈরি করে দিয়েছি। বাণিজ্যের বিষয়টি সঠিক নয়।