চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতা নান্টু জামিনে মুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান নান্টু জামিনে মুক্ত হয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর পুলিশ তাকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করে। সাতদিন হাজতবাস পর গতকাল মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
জানা গেছে, গত নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই কিশোর সদর ফাঁড়ির ভেতর থেকে নান্টুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গ্রেফতারের সময় নান্টু অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হন এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার পরে সে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ খবর পেয়ে নান্টুর পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে নান্টুকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অপারেশন ইন্সপেক্টর আমির আব্বাস জানান, তার নামে চাঁদাবাজি মামলার ওয়ারেন্ট আছে। ওই মামলায় নান্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর নান্টুকে কোর্টে চালান করে দিলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। চিকিৎসার জন্য আদালতে দীর্ঘক্ষণ শুনানির পর আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা সন্ধ্যায় জেলা কারাগারের সামনে ভিড় করে। নান্টু বের হলে মোটরসাইকেলযোগে একটি মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আ.লীগের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। মিছিলের সময় নান্টুর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নেতৃবৃন্দ স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় জেলা আ.লীগ যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন এবং জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে নান্টু’র বড় ভাই চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমান অভিযোগ করে বলেন, নান্টু এই মামলার সাথে কোনোভাবেই সম্পৃত্ত নেই। মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি কুচক্রীমহল নান্টুকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে মামলার বাদি ঝিনাইদহ জেলার মৃত নাসির উদ্দীনের ছেলে মিজানুর রহমান ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিক এফিডেভিড করে লিখিত দেন যে, ২য় পক্ষ আসামী চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার মৃত জাহান বক্সের ছোট ছেলে জাহিদ হাসান নান্টু’র বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই এবং আমি কোথাও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। নান্টুর পরিবার ও বিভিন্ন রাজতৈনিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, ১ম পক্ষ বাদি মিজানুর রহমান নান্টুর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি, থানায় যে এজহারে নান্টুর নাম নেই, কিন্তু চার্জশিটে নান্টুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই থেকে বোঝা যায় মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। নির্দোষ নান্টুকে হয়রানি করার উদ্দেশে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সচেতনমহল মামলাটি তদন্তপূর্বক আসল রহস্য উদঘাটন করার জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।