আলমডাঙ্গার বন্দরভিটায় স্কুলছাত্রী ও ভাংবাড়িয়ায় যুবকের সাপে কেটে মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়ার কামরুল ইসলাম নামের এক যুবক ও বন্দরভিটার লিজা খাতুন নামের এক ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সর্প দংশনে মারা গেছে। লিজা খাতুনকে সাপে কাটে গতপরশু রোববার রাতে। কামরুল ইসলাম গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভাংবাড়িয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পায়ে সাপে দংশন করে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলেও চিকিৎসা দেয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়ে সে। পরশু রাতে লিজা খাতুনকে সাপে কাটলে ওঝা এসে হাত চালিয়ে বলে সাপে নয় ইঁদুরে কামড়েছে। বাঁধ খোলার কিছুক্ষণ পরই মারা যায় সে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া এমপিপাড়ার সাবের আলীর ছেলে কামরুজ্জামান (২৫) বাজার থেকে পায়ে হেঁটে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলো। পথিমধ্যে পায়ে সাপে দংশন করে। কামরুল ইসলামকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে অপচিকিৎসা দেয়া শুরু করলেও পরে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে জরুরি ওয়ার্ডে কর্মরত ডা. শামীম কবির রোগী দেখেই বলেন, হাসপাতালে নিতে একটু দেরি হয়ে গেছে। তবুও দ্রুত এন্টি¯েœক ভেনম দেয়ার প্রক্রিয়া করেন। এরই মাঝে রোগী কামরুল ইসরাম মারা যায়।
আসমানখালী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার আসমানখালী বন্দ ব্রিজপাড়ার লিটন আলীর মেয়ে লিজা খাতুন বন্দরভিটা আল-হেলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। প্রতিদিনের ন্যায় রাতে গতপরশু রোববার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো সে। রাত আনুমানিক ২ টার দিকে বিষধর সাপে দংশন করে। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা টের পায়। পায়ে রশি দিয়ে বাঁধে এবং তার পিতা ওই গ্রামের এক ওঝাকে ডেকে এনে হাত চালিয়ে ওঝা বলে তাকে ইঁদুরের কামড় দিয়েছে। ভোর ৫টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী মারা যায়। পরিবারের লোকজন জানান ঘরের পাশে রয়েছে বিছুলি গাদা। সেখান থেকেই বিষধর সাপ এসে দংশন করে বলে ধারণা। সাপের বিষে সমস্ত শরীর নীল হয়ে যায়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে নিহত স্কুলছাত্রী লিজা খাতুনের গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।