মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে আটকে নির্যাতন করে মুক্তি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: বাড়ি থেকে রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে হাতকড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে আসামী বানিয়ে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম খাইরুল ইসলাম। সে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুণ্ডি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ।
খলিসাকুণ্ডি ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত ১৪ নভেম্বর রাতে খলিসাকুণ্ডি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ খাইরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আমার বাড়িতে যায়। তারপর আমাকে রাতে ঘর থেকে বের হতে বলে। পরে আমি বের হলে আমার হাতে হাতকড়া দিয়ে আমাকে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। আমি অপরাধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ক্যাম্পে গেলেই বুঝতে পারবে। তাই বলে আমাকে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে আমার পরিবারের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেয়ার হুমকি দেয়। পরে আমার পরিবারের লোকজন ৩০ হাজার টাকা দিলে আমাকে পিপুলবাড়িয়া ক্যাম্পে নিয়ে যেয়ে ছেড়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার প্রতি এমন নিষ্ঠুর অত্যাচার অভাবনীয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
খলিসাকুণ্ডি ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খাইরুল ইসলাম জানান, আমি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে নিয়ে এসেছিলাম। পরে ওসি স্যারের নির্দেশে তাকে থানায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। পরে স্যার ফোন দিলে আমি তাকে পিপুলবাড়িয়া ক্যাম্প থেকে খলিসাকুণ্ডি ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে হস্তান্তর করি। এটা সম্পূর্ণ ওসি স্যার জানে।
এ ব্যপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা খাঁন জানান, আমি কাউকে ছাড়ার নির্দেশ দেয়নি। আর বিষয়টি আমি জানিও না। কাকে ধরেছে বা ছেড়ে দিয়েছে তা ওই এসআই জানেন।
খলিসাকুণ্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে মালিপাড়া থেকে ৩ জনকে আটক করে খলিসাকুণ্ডি ক্যাম্প। পরে শহিদুল নামের এক দালালের মাধ্যমে এসআই খাইরুল ইসলাম ৩০-৩৫ হাজার টাকা করে নিয়ে আসামীদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।