দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে স্থগিত হওয়া নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

আগামি ২৮ ডিসেম্বর পূর্বের তফসিলেই ভোটগ্রহণ
বখতিয়ার হোসেন বকুল: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে স্থগিত হওয়া নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মতিন রিটার্নিং অফিসার হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। আগামি ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও ৭ ডিসেম্বরের আগে কোনো ধরণের প্রচার-প্রচারণা করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সাথে নাটুদাহ ইউনিয়নের ২নং সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোখলেছুর রহমান রিটার্নিং অফিসার হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিলে বলা হয়েছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামি ২৭ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ৬ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ আগামি ২৮ ডিসেম্বর। এ দিকে এক বছর ৪ মাস পর নতুন করে ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হলেও আবারও ভোট স্থগিত হওয়ার শঙ্কায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটাররা রয়েছেন সন্দেহের দোলাচলে।
উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর, কার্পাসডাঙ্গা, দামুড়হুদা সদর, কুড়–লগাছি, পারকৃষ্ণপুর-মদনা এবং হাউলী এ ৬টি ইউনিয়নে তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল মোতাবেক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ তারিখ ছিলো ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ ও ৫ মে, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১২ মে, প্রতিক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোটগ্রহণের দিন ধার্য ছিলো ২৮ মে। সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যখন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত। এরই মাঝে ভোট গ্রহণের ঠিক এক সপ্তাহ আগে মামলা জনিত কারণে পারকৃষ্ণপুর-মদনা এবং হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
ঘোষিত তফসিল মোতাবেক পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী এসএএম জাকারিয়া আলম (নৌকা), বিএনপি মনোনিত প্রার্থী আশরাফুল হক বিপ্লব (ধানের শীষ), জামায়াত মনোনিত প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক (চশমা) এবং সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) আক্তারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) এ ৪জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে নামেন। সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে ২জন প্রার্থীর মধ্যে নিলুফা ইয়াসমিন (বক) এবং মালেকা খাতুন (মাইক)। সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে ৪জন প্রার্থীর মধ্যে মমতাজ বেগম (বক), নাসরিন সুলতানা (তালগাছ), ইসনাহার খাতুন (কলম) এবং শাহিনুর খাতুন (মাইক)। সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে ২জন প্রার্থীর মধ্যে রিজিয়া খাতুন (মাইক) এবং শরিফা খাতুন পেয়েছেন (সূর্যমূখী ফুল)। এছাড়া ১নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৩জন প্রার্থীর মধ্যে ইসমাইল হোসেন (মোরগ), আশাদুল হক (টিউবওয়েল) এবং আবু সাইদ (ফুটবল)। ২নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৩জন প্রার্থীর মধ্যে ই¯্রাফিল হোসেন (মোরগ), শামসুল হক (টিউবওয়েল) এবং আলফাজ উদ্দীন (ফুটবল)। ৩নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৫জন প্রার্থীর মধ্যে আমিন উদ্দীন (মোরগ), মজিবর রহমান (টিউবওয়েল), হযরত আলী (তালা) জাহাঙ্গীর হোসেন (ফুটবল) এবং হাকিম পেয়েছেন (ভ্যানগাড়ি)। ৪নং সাধারণ ওয়ার্ডে ২জন প্রার্থীর মধ্যে মামুন রেজা (টিউবওয়েল) এবং সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন (ফুটবল)। ৫নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৫জন প্রার্থীর মধ্যে নুহু মিয়া (টিউবওয়েল), আশিক ইকবাল (মোরগ), সাজ্জাদ আলী (ফুটবল), আব্দুল মান্নান (তালা) এবং আব্দুল হাই পেয়েছেন (আপেল)। ৬নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৩জন প্রার্থীর মধ্যে ছাগির হোসেন (টিউবওয়েল), আব্দুর রহমান (মোরগ) এবং মিজানুর রহমান (তালা)। ৭নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৪জন প্রার্থীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক (ফুটবল), শহিদুল ইসলাম (টিউবওয়েল), আজিম উদ্দীন (মোরগ) এবং আজিজুল হক (তালা)। ৮নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৪জন প্রার্থীর মধ্যে খাইরুল বাশার (ফুটবল), সোরাফ হোসেন (টিউবওয়েল), আব্দুল্লাহ আল-মামুন (মোরগ) এবং আব্দুর রহমান (তালা)। ৯নং সাধারণ ওয়ার্ডে ৭জন প্রার্থীর মধ্যে সাইদুর রহমান (মোরগ), রুহুল আমীন (টিউবওয়েল), তাজ উদ্দীন (তালা), সাইফুর রহমান (ফুটবল), ইয়াসীন আলী (ভ্যানগাড়ি), ইউনুচ আলী (ঘুড়ি) এবং ই¯্রাফিল হোসেন পেয়েছেন (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতিক নিয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যখন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত। এরই মাঝে ভোট গ্রহণের ঠিক এক সপ্তাহ আগে মামলা জনিত কারণে পারকৃষ্ণপুর-মদনা এবং হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এক বছর ৪ মাস পর পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য তারিখ ঘোষণা করা হলেও এ দফায় হাউলী ইউনিয়ন রয়েছে তালিকার বাইরে।