দামুড়হুদার জগন্নাথপুরে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়া সেই কলেজছাত্রীর আদালতে মামলা

কুড়ূলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জগন্নাথপুরে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়া সেই কলেজছাত্রী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তিন বছর প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক করে বিয়ে না করার অভিযোগে তোলা হয় কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে। তারা দু’জনই দামুড়হুদা ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ ফল প্রত্যাশী। এর আগে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দু’দিন অবস্থান নিয়েছিলেন ভুক্তভোগি কলেজছাত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ আইনে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে নিজে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত কলেজছাত্র সাজেদুল ইসলাকে প্রধান আসামি করে তার পিতা বাবলু মিয়া, মা মমতাজ বেগম ও ভাই আশাদুল হককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দামুড়হুদার জগন্নাথপুরের কলেজছাত্র সাজেদুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার কুড়ুলগাছি সদাবরি গ্রামের কলেজছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযোগ ওঠে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর প্রেমিকা বিয়ের চাপ দিলে সে টালবাহানা করতে থাকেন। গত ১৪ নভেম্বর অভিযুক্ত মোবাইলফোনে বিয়ের আয়োজনের কথা বলে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে আসতে বলে ভুক্তভোগিকে। পরে সে বাড়ি আছে বলে তাকে তার বাড়িতে আসতে বলে। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে অভিযুক্তকে না পেয়ে তার বাড়িতে অবস্থান নেয় ভুক্তভোগি।
জানা গেছে, বাড়িতে অবস্থান নেয়ার কথা জানতে পেরে অভিযুক্ত গা ঢাকা দেয়। এ সময় অভিযুক্তের চাচা ভুক্তভোগিকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন এবং পরদিন তাদের বিয়ের আশ্বাস দেন। কিন্তু সে তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে তাকে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন কর হয়। পরে অভিযুক্তের চাচা থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশ এনে ভুক্তভোগিকে তার বাড়িতে দিয়ে আসেন। কলেজছাত্রী জানান, সাজেদুলের সাথে মোবাইলফোনে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে অবস্থান করি। কোনো সুফল না পেয়ে অবশেষে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ আইনে মামলা করেছি।