দীর্ঘদিন দেহ ভোগের পর বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকা সালমার আত্মহত্যার অপচেষ্টা

দামুড়হুদার জগন্নাথপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ি অবস্থান নেয়া প্রেমিকার ওপর নির্যাতন

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জগন্নাথপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ি অবস্থান নেয়া প্রেমিকার উপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন ওই প্রেমিকা। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিনগত রাতে ওই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের বাজারপাড়ার বাবলু মিয়ার ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২৪) ও কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের আসুব্বার হোসেনের মেয়ে সালমা খাতুন (২২) দামুড়হুদা ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। একই কলেজে অধ্যায়নের সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দিনে দিনে গাঢ় হয় তাদের প্রেম। তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিনের প্রেমের সর্ম্পক বিয়েতে পরিণত করতে সাজেদুলকে বারবার তাগাদা দেন প্রেমিকা সালমা। কিন্তু নানা অজুহাতে তা এড়িয়ে যান সাজেদুল। গত সোমবার বিয়ে করার কথা বলে মোবাইলফোনে সালমাকে ডেকে আনেন সাজেদুল। দেখা করেন দু’জন। পরে প্রেমিকাকে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পালিয়ে যায় সে। কোনো উপায় না পেয়ে সালমা বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন প্রেমিকের বাড়িতে। এসময় তার ওপর নির্যাতন করে সাজেদুলের পরিবার। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কাটেন সালমা। এমতাবস্থায় পুলিশে খবর দেয় সাজেদুলের পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সালমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। ওই রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয় পুলিশ।
ভুক্তভোগী সালমা জানান, তার সাথে সাজেদুলের দীর্ঘ তিন বছর ধরে প্রেমের সর্ম্পক। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে সাজেদুল। এখন বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে জানান প্রেমিকা সালমা। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইমদাদুল হক জানান, খবর পেয়ে সাজেদুলের বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় সালমাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে রাতেই তাকে গ্রামের বাড়ি সদাবরীতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সালমা বা তার পরিবার থেকে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে সালমার পরিবার।