আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করায় দলীয় প্রার্থীরা আবেদন নিয়ে বিপাকে

জীবননগরের উথলী মনোহরপুর ও কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন

জীবননগর ব্যুরো: আগামী ২৮ ডিসেম্বর জীবননগর উপজেলার পুনর্গঠিত উথলী, নবগঠিত মনোহরপুর ও কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য ইউনিয়ন কমিটি বরাবর আবেদন করতে বলা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য ইউনিয়ন কমিটি বরাবর আবেদন করার কথা বলা হলেও বৃহত্তর উথলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত থাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বেকায়দায় পড়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোহরপুর ইউনিয়নের আকিমুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, রাজা মিয়া, উথলী ইউনিয়নের আবজালুর রহমান ধীরু ও কেডিকে ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, গত বছরের ৬ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় বিভাজিত উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। গত বছরের ৮ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, উপজেলার যে সকল ইউনিয়ন প্রশাসনিক নির্দেশে বিভাজিত হয়েছে এবং আজও সে সকল পুনর্গঠিত ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়নি। সে কারণে ওই সকল ইউনিয়নে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। একারণে অবিভাজিত ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা পূর্বক বিভাজিত সকল ইউনিয়নে নতুন আহ্বায়ক কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়ে গত ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভাজিত ইউনিয়ন সমূহে আহ্বায়ক কমিটি গঠন পূর্বক জেলা কমিটিকে অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এ চিঠির ফলে বৃহত্তর উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে দাবি করে বলা হয়েছে, ‘কিন্তু দুঃখের বিষয় সাবেক উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেরাও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা তাদের সুবিধার্থে ও স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিলুপ্ত কমিটিকে বহাল দেখিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করতে হবে। এ অবস্থার মধ্যে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা কোথায় আবেদন করবেন? উপজেলা আওয়ামী লীগ না কি জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর তা নিয়ে এক প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। এ অসুবিধা থেকে পরিত্রাণ পেতে জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

Leave a comment