প্রধান বিচারপতির পদত্যাগে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার: অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, দুর্নীতিসহ ১১টি অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতিরা একসঙ্গে বসে যখন বিচার কাজ পরিচালনা করতে চাননি তখনই প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিলো না। উনি প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়ায় বিচার বিভাগ ভারমুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের কোনো লোক যদি কোনো প্রকার দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে কোনোভাবেই তার বিচার বিভাগে থাকা উচিত নয়। প্রধান বিচারপতির পদত্যাগে কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়নি বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। গতকাল রোববার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ নিয়ে নানা রকম বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন এবং নানা রকম বক্তব্য দিচ্ছেন এগুলো অপ্রাসঙ্গিক। শুধুমাত্র রাজনীতির খাতিরে তারা এগুলো বলছে। দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। রাষ্ট্রপতি কি করবেন সেটা তিনিই জানেন।

রিভিউর শুনানিতে সাত বিচারপতি দরকার: অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল বিভাগের সাতজন বিচারক ষোড়শ সংশোধনী মামলার শুনানি ও রায় প্রদান করেছেন। রায়ের সময় যে ক’জন বিচারপতি ছিলো তার চেয়ে কম বিচারপতির বেঞ্চ হলে রিভিউর শুনানি করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নিয়মটা হলো যে কয়জন বিচারপতি একটি রায় দিয়ে থাকেন, রিভিউ করতে হলে ততো সংখ্যক বিচারপতি লাগে বা তার থেকে একজন বা দুইজন বেশি লাগে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল বিভাগে এককভাবে কোনো বিচারপতি বিচার করেন না। এ কারণে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনকালে যেসব মামলার রায় হয়েছে সেখানে অন্যান্য বিচারপতিরাও তার সঙ্গে ছিলেন।

Leave a comment