চুয়াডাঙ্গায় ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত

স্টাফ রিপোর্টার: সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সকল ওয়ার্কার্স কর্মচারীদের নিয়মিত করা ও ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ১০টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি হয়। কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের সময় চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাহী সংসদের সভাপতি মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, দফতর সম্পাদক কাসাফুদ্দোজা সুজন, প্রচার সম্পাদক লাল মিয়া ও জেলা শ্রমিক লীগ নেতা আসাদুজ্জামান শিমুল উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচি শেষে সংগঠনের সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ৫ হতে ৯ নভেম্বর কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছি। আগামি ১৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ, ১৯ নভেম্বর হতে ২৩ নভেম্বর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি, ২৮ নভেম্বর হতে ৩০ নভেম্বর ঢাকায় কাফনের কাপড় নিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর দফতরে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালিত হবে।
ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ৭ দফা দাবি আদায়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা। রোববার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। ঘন্টাব্যাপি চলা মানববন্ধনে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, মোশাররফ হোসেন, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মকলেচুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অনেকে দীর্ঘ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরী করেও সরকার থেকে কোনো কিছু না পেয়ে বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এছাড়াও অল্প কিছুদিনের মধ্যে আরো অনেকে চাকরির মেয়াদ পূর্ণ করবেন অথচ মেয়াদ শেষে তাদের ভবিষ্যত অন্ধকার। বক্তারা, সারাদেশে সড়ক ও জনপথ বিভাগে ৭ হাজার ৫৯ ওয়ার্কচার্জ শ্রমিক কর্মচারীদেরকে নিয়মিত করাসহ ৭ দফা দাবি পেশ করেন। দ্রুত এ দাবি মানা না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

 

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাছাইকৃত ২ হাজার ৬৬৭ জন ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শূন্য পদের বরাবরে নিয়মিত ও অবশিষ্ট ৪ হাজার ৩৯২ জন ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদেরকে রেগুলারের আওতায় এনে নিয়মিতকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করাসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্যরা। গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয়নেতা মাশুকুর রহমান। অন্যদের মধ্যে জেলা শাখার সহ-সভাপতি সোহেল রানা সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু শাহীন সালাউদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক গহর আলী, প্রচার সম্পাদক হাতেম আলী, কোষাধ্যক্ষ আবুল বাকি জোয়ার্দ্দার, অফিস সম্পাদক আখতার আলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুন নুর, ক্রীড়া সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সদস্য মফিজুর রহমান, দুদ্দু শেখ, সিদ্দিক আলী, আব্দুল মান্নান, জামাল আলী, আবু তালেব, আমজাদ হোসেনসহ সকল কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সারাদেশে তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছে। ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের চাকুরির বয়সসীমা ৬০ এর স্থলে ৬২ করতে হবে। বিনা পেনশনে যাদের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের উপযুক্ত অনুদানের ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যাচাইকৃত ২ হাজার ৬৬৭ জন ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শূন্য পদের বরাবরে নিয়মিত ও অবশিষ্ট ৪ হাজার ৩শ’ ৯২ জন ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীকে শর্ত শিথিল করে নিয়মিত প্রজ্ঞাপন/এসআরও জারি করা সহ ৭টি দাবি জানায় সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কর্মচারীরা।
আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতী পালন করা হবে। এরপরও যদি দাবি না মানা হয় তাহলে কাফনের কাপড় পড়ে তার রাজধানীর গুরত্বপূর্ণস্থানে অবস্থান ধর্মঘট পালন করবেন।

Leave a comment