মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে রাজাকার আজগার আলীর নামে মেহেরপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আজগর আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মৃত ফয়েজদ্দিনের ছেলে। গত সোমবার মামলাটি দায়ের করেছেন একই গ্রামের নিহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার নেন্টুর স্ত্রী মোছা. ফুলজান খাতুন।
বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার স্বামী ভারতে চলে যান। সেখানে যেয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হন। ওই সময় আমার চতুর্থ মেয়ে আরজিয়ার জন্ম হয়। আরজিয়াকে দেখার জন্য আমার স্বামী ঘটনার ২-১ দিন আগে বাড়িতে আসে। এ সময় কুখ্যাত রাজাকার আজগর, সামুয়ুন, আব্দুল বিহারী ও ১৫-২০ জন পাক বাহিনীর সদস্য বাড়িতে ঢুকে আমার স্বামী আব্দুল জব্বার ওরফে নেন্টুকে ধরে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার ঘর লুটপাট করে এবং ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সামুয়ুন ও আব্দুল বিহারী ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে। আসামি আজগর আলী অত্র এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ও বিভিন্নস্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লুটতরাজ, ধর্ষণ, পোড়ানো, হত্যাযজ্ঞ চালায়। আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে মেহেরপুর কবি নজরুল স্কুলে আটকিয়ে রেখে এক সপ্তাহ বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন শেষে মেহেরপুর সরকারি কলেজের বধ্যভূমিতে আসামি আজগর আলী ও পাকবাহিনী গুলি করে তাকে পুঁতে রাখে। আসামি আজগর আলী রাজাকারের এসব কুকর্ম রফিকুর রশীদের ‘মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ বইয়ে ১৩৭ পৃষ্ঠায় বর্ণনা রয়েছে। আমার স্বামীর লাশ আজও খুঁজে পাইনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মতিন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।