চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং

কতোটা স্বেচ্ছাচারিতা পেয়ে না বসলে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সোয়া এক ঘণ্টা ধরে চিকিৎসা শূন্য থাকতে পারে? ছিলো, মাঝে মাঝেই চিকিৎসক শূন্য থাকে। চিকিৎসক না থাকার কারণে জরুরি বিভাগে জরুরি চিকিৎসা ব্যাহত হওয়া স্বাভাবিক। গত পরশু শুক্রবার বেলা ২টা থেকে সোয়া ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসক না থাকার কারণে মৃতপ্রায় রোগী নিয়ে এক চিকিৎসক সহকারী ও কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী শুধু নাড়াচাড়া করেছেন। শেষ পর্যন্ত গাড়ি থেকে নেমে টানপায়ে জরুরি ওয়ার্ডে প্রবেশ করে রোগীর নাড়ি দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন ওই চিকিৎসক।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে মেডিকেল অফিসার পদ বিলুপ্তির পর তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে পুনরায় চালু করতে না পারাটা অবশ্যই চুয়াডার দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার খেসারত আর কতোদিন এলাকাবাসীকে দিতে হবে কে জানে! জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনের তাগিদেই চুয়াডাঙ্গা সদর আধুনিক হাসপাতালটি ৫১ থেকে ১শ শয্যা, একশ থেকে দেড়শ-আড়াইশ শয্যায় উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। সেমতে অবকাঠামো নির্মাণ কাজও অব্যাহত রয়েছে। অথচ হাসপাতালের বেশ ক’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় লোকবলও অপ্রতুল। এরপর যখন মেডিকেল অফিসারদের দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টার দায়িত্ব পালন করানো হয়, তখন বহির্বিভাগে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। পড়েও। তাই বলে দায়িত্ব দেয়ার পরও জরুরি বিভাগে ডাক্তার থাকবে না? এটা হতে পারে না।
শুক্রবার বেলা ২টায় একজনের দায়িত্ব পালনের শেষ সময় ছিলো। তারপরও বদলি চিকিৎসক আসার পরই তার কর্মস্থল ত্যাগ করা কি নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না? নিশ্চয়। একজনকে দায়িত্ব বুঝে না দিয়ে ঘড়ির কাঁটা ধরে কর্মস্থল ত্যাগ করার মধ্যে যা ইচ্ছা তাই করার তথা স্বেচ্ছাচারিতা নয়কি? যদিও যার ২টার সময় দায়িত্ব বুঝে নেয়ার কথা ছিলো, তিনি কেনই বা সোয়া ১ ঘণ্টা বিলম্বে এলেন? তবে কি তিনি মাঝে মাঝেই এভাবে দেরি করে আসেন? এ কারণে কি সহকর্মীর মধ্যে সহযোগিতার মনভাব উবে গেছে? অবশ্যই তদন্ত হওয়া দরকার। দরকার কর্তব্যপরায়ণতা।

 

Leave a comment