চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহসহ সারাদেশে যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

দেশ ও দশের কল্যাণে যুবলীগের সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চুয়াডাঙ্গা কমিটি না থাকলেও পৃথকভাবে ধুমধামের সাথে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে স্থানীয় দুটিপক্ষ। জেলা শহরে যুবলীগের একপক্ষের আয়োজনে মধ্যমণি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি।
অপরপক্ষের আয়োজনে ছিলেন যুবলীগের সাবেক জেলা আহ্বায়ক চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। আলমডাঙ্গা আয়োজনে ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চুয়াডাঙ্গা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন। এছাড়া দর্শনা ও জীবননগর পৃথকভাবে যুবলীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করা হয়। দর্শনার আয়োজনে মধ্যমণি ছিলেন হাজি আলী আজগার টগর এমপি। দামুড়হুদা ও জীবননগরে একাংশের আয়োজনে ছিলেন নজরুল মল্লিক। আয়োজনে বক্তারা দেশের কল্যাণে যুবলীগের সকল নেতাকর্মীকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প্যমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের, সিরাজুল ইসলাম আসমান ও নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ মনি’র প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
দুপুর ১২টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য যুব র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জুর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও অ্যাড আব্দুল মালেক। যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, রাসেদুজ্জামান বাকি, সিরাজুল ইসলাম আসমান, শামসুদ্দোহা হাসু, আব্দুর রসিদ, রেজাউল করিম, লাবলু, আজাদ, টুটুল, লালা, শান্তি, খোকা, হাফু, আরিফ, মিলু, মাসুম, লোটাস, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, সাবেক সহ-সভাপতি রুবাইত বিন আজাদ সুস্তির, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, খালিদ মাহমুদ, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ, মতিয়ার রহমান ফারুক, আলমডাঙ্গা পৌর যুবলীগের সভাপতি গাফফার, সাধারণ সম্পাদক সোনাহার মন্ডল, ডিটু, পিন্টু, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, চিৎলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল ইসলাম মন্টু, ফকা, আব্দুল হালিম লাটিম, আবুল হাসনাথ, দীপু,সম্রা্ট প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, বাংলাদেশে যুবলীগের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। স্বাধীনতা যুদ্ধে যুবলীগের অবদান ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই আহ্বানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ব্যাপক সাঁড়া দিয়েছিলো। দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলো তাঁরা। দেশ থেকে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে দূর করতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে এগিয়ে আসতে হবে। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অতিথিবৃন্দ।
এদিকে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর সভাপতিত্বে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামসুল আবেদীন খোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী আহমেদ, অ্যাড. আশরাফ আলী ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি। জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য অ্যাড. তসলিম উদ্দীন ফিরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক নেফাউর রহমান ডেভিড, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য মাহবুল ইসলাম সেলিম, হাফিজুর রহমান হাফিজ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জ্যাকি প্রমুখ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামসুল আবেদীন খোকন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যুবলীগের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। স্বাধীনতাসহ দেশের প্রতিটি সংগ্রামে যুবলীগের প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিলো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অন্তরে লালন করে দেশের উন্নয়নে যুবলীগের নেতাকর্মীকে এগিয়ে আসতে হবে। এর আগে কেদারগঞ্জস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। জাতীয়, দলীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, শোভাযাত্রা ও সমাবেশ। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দর্শনা আওয়ামী লীগের সভামঞ্চ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে র‌্যালিটি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ করা হয়। বেলা ১১টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্যদিয়ে শুরু করা হয় সমাবেশ। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ। প্রধান বক্তা ছিলেন চুুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। তিনি বলেন মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি। সেই থেকে যুবলীগ সমাজ, দেশ তথা জাতির উন্নয়নে কাজ করে আসছে। ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটির রয়েছে বর্ণাঢ্য ইতিহাস। যেখানেই অত্যাচার অনাচার ও অরাজকতা, সেখানেই রুখে দাড়িয়েছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দেশে সব ধরনের আন্দোলন কর্মসূচিতে যুবলীগের ভূমিকা অপরিসীম। যুবলীগের কাছে জাতির অনেক আশা। এমপি টগর আরও বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন যখন বিশ্ব দরকারে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তখনি, জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও জঙ্গিরা অহেতুক দেশে অরাজকতা সৃষ্টি পাঁয়তারায় মেতেছে। ওদের অরাজকতা রুখে দিতে যুবলীগকে শক্তহাতে মোকাবেলা করতে হবে। জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে সমাজ, জাতি ও দেশকে।
দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কবির ইউসুফের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি হাজি জয়নাল আবেদীন, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক আরিফ, আলী মুনসুর বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য মুন্সি সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড রফিকুল ইসলাম রান্টু, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, শাহ এনামুল করিম ইনু, আওয়ামী লীগ নেতা হাজি আকমত আলী, শহিদুল ইসলাম, মোমিনুল ইসলাম, বরকত আলী, মুনতাজ হোসেন, আবু সাঈদ খোকন, হামিদুল্লাহ, মোমিন মাস্টার, আব্দুল করিম, মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, আব্দুর রফিক কাবি, উসমান গণি, তালেব মাস্টার, সেলিম উদ্দিন। উপজেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক আব্দুল হান্নান ছোট’র প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগ নেতা শেখ আসলাম আলী তোতা, হযরত আলী, ইকবাল হোসেন, আশরাফ আলম বাবু, আব্দুস সালাম ভুট্টো, আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তাফিজুর রহমান কচি, আবু সাঈদ, সাইফুল ইসলাম, মামুন শাহ, মোস্তাফিজুর রহমান মতি, দেলোয়ার হোসেন, সাহেব আলী, বিপু, বিপ্লব, আয়ুব আলী স্বপন, জিয়াবুল, সোহরাব, রেজাউল, হবা জোয়ার্দ্দার, অহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকু, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি, দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু, ছাত্রলীগ নেতা লোমান, রিপন, মিল্লাত, আলামিন, প্রভাত, রায়হান, অপু সরকার, মোহাম্মদ, ফারুক, সজল, প্রান্ত, মেহেদী, সেলিম, বাপ্পি, মাসুদ, আক্তার, রাব্বি, রাসেল, লিমন, প্লাবন প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সিয়াম সুপার মার্কেটের সামনে দামুড়হুদা ইউনিয়ন যুবলীগের একাংশের (হুইপ গ্রুপ) সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল মল্লিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আফজালুর রহমান বুলু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জান মোহাম্মদ সেলিম, যুগ্মআহবায়ক মীর আব্দুল হামিদ। উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা সাজেদুল বিশ্বাস মিঠু, জাহিদুল মেম্বার, জাহাঙ্গীর হোসেন, জামাত আলী, হাসান-আল বাখার ডলার, শাহিন, আনোয়ার, বাদশা, নাছিম, স্বপন, খোকন, ওসমান, বাবু, সহিদুল, খালেক, কাওছার, ওমর ফারুক প্রমুখ। আলোচনা শেষে কেক কাঁটা হয়। এর আগে নজরুল মল্লিকের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ।

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কার্পাসডাঙ্গায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্রিজ মোড়স্থ কার্যালয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমদাদুল হক ইমন, মেহেদী হাসান সেতু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ কচি, যুগ্ম সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, দফতর সম্পাদক বখতিয়ার খলজি বকুল, যুবলীগ নেতা আব্দুল মোমিন সবুজ, আবু জাফর, আশরাফুল ইসলাম, আবু বক্কর,আব্দুল্লাহ, খোকন, আহাদ আলী, অমিদুল হক প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, কেক কাটার মধ্যদিয়ে মেহেরপুর জেলা যুবলীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেছে। মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন ও যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান রাত ১২ টা ১ মিনিটে শহরের শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুজ্জামান অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান মাহাবুব, সাজেদুর রহমান সাজ ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকাল ৬ টায় শহরের শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৬ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এদিন বিকেলে ৩ টায় শহরের শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে লাঠি খেলার আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হতে না পারায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনাসভাসহ মূল অনুষ্ঠান আজ রোববার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেছে মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগ। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাঁদুর নেতৃত্বে র‌্যালি শেষে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য শাহিনউদ্দীন শাহিন, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান মুংলা, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল মল্লিক, যুবলীগ নেতা আবু সাকির আঙ্গুর, হাসান কুতুবুজ্জামান খোকন, আহসান, জমির উদ্দীন, তাহাজ উদ্দীন, কামরুল ইসলাম, সুমন, তারিক, বিপ্লব, ফারুক, সোহাগ, তাহের, সুরুজ, মাসুম, খোকন, রাশিদুল প্রমুখ।

 

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলা যুবলীগের দুটি গ্রুপ জাঁকজমক আয়োজনের মধ্যদিয়ে যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে বাসস্ট্যান্ড মুক্তমঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। পাইলট হাই স্কুলের সামনে অপর গ্রুপের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি নজরুল মল্লিক। নজরুল মল্লিক গ্রুপ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রিংকু। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আব্দুল লতিফ অমল ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ঈশা। পোস্ট অফিসের সামনে নজরুল মল্লিকের নির্বাচনী কার্যালয়ে সকাল ১১টার সময় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বিকেলে বাসস্ট্যান্ড মুক্তমঞ্চে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ঈশার সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আব্দুল লতিফ অমল, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হোসেন, উথলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন খান, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা, যুবলীগ নেতা এসএ শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু, খাইরুল বাশার শিপলু, মজিবার রহমান, সালাহ উদ্দিন কবির, ফয়সাল ইকবাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর সোয়েব আহমেদ অঞ্জন, সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর ওয়াসিম রাজা, জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মানিক প্রমুখ। শেষে কেক কাটার মধ্যদিয়ে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
একই সাথে আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের পক্ষ থেকে জীবননগর হাই স্কুলের সামনে যুবলীগ নেতা শামীম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল মল্লিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল আলম নান্নু, জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, মিজানুর রহমান নেনু, পৌর কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান, প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান, মীর মখলেচুর রহমান টজো, হারেজ উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, হানেফ ম-ল, যুবলীগ নেতা কাজি শামসুর রহমান চঞ্চল, শাহাবুল হোসেন ও মফিজুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা শেষে কেক কাটা হয়। শেষে সাড়া জাগানো কন্ঠশিল্পী ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রিংকু সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন যুবলীগ নেতা অ্যাড আকিমুল ইসলাম।

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় এরশাদমঞ্চে যুবলীগের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ। প্রধান অতিথি বলেন, স্বাধীনতার পর এদেশের যুব সমাজ বিভ্রান্ত হল। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিগুলো চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুর ঘর ভাঙলো। তার থানা লুট করল, দেশকে অশান্ত করে তুলেছিলো। তিনি আরও বলেন, চক্রান্তকারীদের মোকাবেলা করতে হবে। সেটা ঘরের ভেতরে হোক বা বাইরে হোক। যারা দলের ক্ষতি করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আওয়ামী লীগ রুখে দাঁড়াতে না পারলেও যুবলীগ রুখে দাঁড়িয়েছিলো। মাথা নত করেনি। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদীন খোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, গাংনী ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের আবু, বিশিষ্ট যুবলীগ নেতা আমজাদ হোসেন সজীব, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,। জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য সোহেল রানা শাহিনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন রেজা, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য তরিকুল ইসলাম টুকুল, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি খাসকররা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তাফসির আহম্মেদ মল্লিক লাল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, আলমডাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, যুবলীগ নেতা, চন্দন, মাসুদুর রহমান মাসুম, উসমান গনি বিস্কুট, শেখ কামরুল ইসলাম, ইলিয়াস স্বপন, বিল্লাল হোসেন, হাসিবুল, সাজু, একরামুল, ছাত্রলীগ নেতা জনি, রাজিব, শাকিল, মজিব, তপু, রাকু, দয়াল, মহাসিন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাতাবার্ষিকী কেক কাটা হয়।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বেলা সাড়ে চারটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। বাদ্যের তালে তালে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করেন যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। শোভাযাত্রা শেষে মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যুব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন। সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ যুগ্মসম্পাদক মজিরুল ইসলাম, পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলাম, যবলীগ নেতা আল ফারুক, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমান আকাশ, সাইফুজ্জামান সিপু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, আব্দুল আলিম ও পৌর সৈনিক লীগ সহসভাপতি জিয়াউল হক জিয়াসহ নেতৃবৃন্দ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী বিশৃঙ্খলা করছে। এখনই তাদের রুখতে না পারলে অনেক ক্ষতি হবে। তাই দলের মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন। যেকোনোভাবে দলের সবাইকে এককাতারে আনতে নেতৃত্ব পর্যায়ের সকলের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।
সমাবেশ শেষে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। একই স্থানে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বিভিন্ন এলাকার শিল্পীরা।
এদিকে যুব সমাবেশ ও শোভাযাত্রা ঘিরে গেল কয়েকদিন ধরে যুবলীগ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলো। গ্রাম গ্রামে নেতাকর্মীদের দাওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান সফল করার আহবান জানানো হয়। যার ফলশ্রুতিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

 

Leave a comment