অভিযুক্ত কামরুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চুয়াডাঙ্গার দোস্তগ্রামে নাকফুল পরিয়ে কলেজছাত্রীকে স্ত্রীর মতো দেহভোগ

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দোস্তগ্রামে প্রভাবশালী পরিবারের ছেলে কামরুলের কান্ডে হতবাক হয়েছে এলাকাবাসি। কৌশল ঘাটিয়ে দিনমজুরের মেয়েকে বিয়ের অভিনয় করে দিনের পর দিন করেছে দেহভোগ। নিজের কূ-কর্ম ধামাচাপা দিতে বিয়ের কথা বলে কলেজছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে করেছে অমানষিক নির্যাতন। গোটা গ্রামের পরিস্থিতি ঘুরে দাড়িয়েছে কামরুলের বিপক্ষে। শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে সবাই। প্রতারিত কলেজছাত্রী বাদি হয়ে কামরুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করেছেন মামলা। গা ঢাকা দিয়েছে কামরুলসহ তার পরিবারের অনেকেই। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্তগ্রামের আমতলাপাড়ার দিনমজুর হরলেস মোল্লার কলেজপড়–য়া মেয়ে রতœার অভিযোগে জানা গেছে, টানা দুবছর ধরে একই পাড়ার বাবু মোল্ল¬ার ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫) তার দেহভোগ করে আসছিলো। এ ক্ষেত্রে কামরুল অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছিলো। কলেজছাত্রীকে বছর দুয়েক আগে কোনো একদিন গোপনে নাকে নাক ফুল পরিয়ে বলেছিলো আজ থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী। তাই আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতে পারবো। পরে বাবা-মা ও পরিবারের সবাইকে ম্যানেজ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় কলেজছাত্রীকে। কথাগুলো গোপন রাখার অনুরোধ করায় কামরুলের কূকর্মের কথা কাউকে ফাঁস করেনি কলেজছাত্রী। এক পর্যায়ে কলেজছাত্রী বিয়ের প্রস্তাব দেয়াতেই বেকে বসে কামরুল। আজ নয় কাল বলে ঘুরাতে থাকে কলেজছাত্রীকে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামরুল মোবাইল ফোনে তার বাড়িতে ডাকে কলেজছাত্রীকে। মোবাইল ফোনে বলা হয় বাবা-মাকে ম্যানেজ করেছি। একাই কামরুলের বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। কামরুলের কথা মতো কাজ করে কলেজছাত্রী। এদিকে কলেজছাত্রীর উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে সটকে পড়ে কামরুল। কলেজছাত্রীকে বাড়িতে পেয়ে কামরুলের বাবা-মা ও বোনসহ পরিবারের সদস্যরা অমানষিকভাবে নির্যাতন চালায় তার ওপর। এ সময় কলেজছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলেও প্রতিরোধের ক্ষমতা ছিলো না। তবে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়। এ ঘটনায় কলেজছাত্রী বাদি হয়ে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় কামরুল, কামরুলের বাবা বাবু মোল্লা, মা মায়া খাতুন, বোন ইসমতারা ও নয়নতারার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোফাজ্জেল হোসেন। এ ঘটনায় বাবু মোল্লা শুরু করেছেন দৌড়ঝাপ। চলছে ম্যানেজ প্রক্রিয়া। তবে, কামরুলসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছে গ্রামবাসি।