নিরাপত্তা বিধানসহ যাত্রীসেবা নিশ্চিত করণে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে

দর্শনা ইমিগ্রেশনের নির্মাণাধীন ভবন ও কার্যক্রম পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহিদুল ইসলাম

দর্শনা অফিস: দর্শনা জয়নগর সিমান্ত পথে প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৩ হাজার যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে থাকে। দর্শনা জয়নগর চেকপোষ্ট প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ইমিগ্রেশনের আলাদা কোনো ভবন ছিলো না। ফলে কাস্টমস ভবনের এককোনে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ঠাসাঠাসি করে। ফলে খানিকটা বিঘিœত হতো যাত্রীসেবাসহ নিরাপত্তা বিধানে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো দর্শনা জয়নগরে ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ। যাত্রীসেবা নিশ্চিত ও এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অতিরিক্ত মহা-পরিচালক (এসবি) মীর শহিদুল ইসলাম বিষয়টি আমলে নেন। তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। মীর শহিদুল ইসলামের প্রাণপণ আন্তরিকতার ফলে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৫ টাকা। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল ভবন নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গার তৎকালীন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন। আগামি বছরের জুন মাসে ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনের তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হতে পারে। ফলে জুনের পর থেকে নিজস্ব ভবনে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক (এসবি) চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান মীর শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশলী ও পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দর্শনা জয়নগর চেকপোষ্ট। দীর্ঘদিন ধরে এ রুট দিয়ে দু’দেশের সকল পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ যাতায়াত করে আসছে। জয়নগর চেকপোষ্ট আন্তর্জাতিক একটি পয়েন্ট। এখানে কোনো ত্রুটির কারণে দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় তা কোনোভাবে কাম্য নয়। দু’দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সুলভ মনোভাব ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেশের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম। কোনোভাবে যাত্রী হয়রানি বরদাস্ত করা হবে না। মনে রাখবেন, ইমিগ্রেশন পুলিশের দায়ীত্বশীলতা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সোহার্দপূর্ণ মনোভাব বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করবে। তাই যে যার জায়গা থেকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কলিম উল্লাহ, দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন, চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর আহসান, দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সেপেক্টর শোনিত কুমার গায়েন, দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই শেখ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক মীর শহিদুল ইসলাম গাড়ী বহর যোগে দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশনে পৌছুলে, চুয়াডাঙ্গা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কলিম উল্লাহ। গার্ড অব অনার প্রদান করেন, এসআই শেখ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের ৯ সদস্যের একটি দল।