১০ শিশু ছাত্রকে গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলেন শিক্ষক রাশিদুল

আলমডাঙ্গার ভালাইপুরে ক্যাডেট স্কিম মাদরাসার শিক্ষকের নামে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে নালিশ করার জের

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা ভালাইপুরের বহুমুখী ক্যাডেট স্কিম মাদরাসার শিশু ১০ ছাত্রকে বেদম পেটানো হয়েছে। গাছের ডাল দিয়ে ওই মাদরাসার শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম তাদেরকে নির্মম নির্যাতন করেন। তার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ করার কারণে ক্ষুব্ধ রাশিদুল ইসলাম এই কা- করেন। আহত ছাত্ররা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গুরুতর জখম কয়েকজন ছাত্রকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রের অভিভাবকরা ফুঁসে উঠেছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন। এ নিয়ে মাদরাসায় আজ জরুরিসভা বসবে বলে স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গায় উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের ভালাইপুরস্থ আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বহুমুখী ক্যাডেট স্কিম মাদরাসার প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান কয়েক দিন আগে তৃতীয় শ্রেণীতে ক্লাস নিতে যান। এ সময় তিনি ছাত্রদের কাছে অন্য শিক্ষকদের বিষয়ে জানতে চান। তিনি গোপনে তার কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেন। অভয় পেয়ে ছাত্ররা লিখিতভাবে জানায় যে, মাদরাসার আরবি বিভাগের সহকারী শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম ক্লাসে এসে ভালোভাবে ক্লাস নেন না। খারাপ আচরণ করেন এবং মোবাইলফোন টিপাটিপি করেন। প্রধান শিক্ষক শিশু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গোপন না রেখে ফাঁস করে দেন। এতে শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম অভিযোগকারী ছাত্রদের ওপর ক্ষুব্ধ হন। গতকাল রোববার তিনি তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাসে গিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলে পড়েন। মাদরাসা চত্বর থেকে গাছের ডাল ভেঙে নিয়ে বেধড়ক পেটান শিশু ছাত্রদের। তার হাতে ১০ শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হন। উপর্যুপরি পেটানোর কারণে ছাত্রদের সারা শরীরে কালসিটে পড়ে যায়। কেউ কেউ রক্তাক্ত জখম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম শিশু ছাত্রদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছেন। ছাত্ররা বাড়িতে গেলে তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে ক্ষুব্ধ হন অভিভাবকরাও। তারা তাদের সন্তানদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন।
শিক্ষক রাশিদুল ইসলামের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম ছাত্ররা হলো হাবিবুর রহমান, তানহা ওরফে স্বাধীন, রাজিব হোসেন, সাইমু ইসলাম, নিয়ামুল, আবির হাসান, জুবাইর, সালাউদ্দিন, সিয়াম ও তানজিল। এদিকে গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তারা শিক্ষক রাশিদুল ইসলামের বহিষ্কার দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন। আজ শিক্ষক রাশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদরাসার জরুরিসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সুষ্ঠুভাবে পরিস্থিতির সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও অভিভাবকরা জানান।