জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ডা. এ জি খান (৫৫) ওরফে আব্দুল গাফফার খান আর বেঁচে নেই। শনিবার গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি …. রাজেউন)। গতকাল রোববার তাকে তার গ্রামের বাড়ি জীবননগর উপজেলা শহরের নতুন তেঁতুলিয়া গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। জীবননগর উপজেলার এক সময়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল গাফফার খানের অকাল মৃত্যুতে জীবননগর প্রেসক্লাবের পক্ষ হতে গভীর শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।
জীবননগর নতুন তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত ডা.মাওলা বক্স খানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র ডা. এ জি খান সাংবাদিকতা দিয়ে তার জীবন শুরু করেন। তিনি জীবননগর প্রেসক্লাবের সদস্যসহ দৈনিক মিল্লাতের জীবননগর প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি খুলনায় হোমিও চিকিৎসা পেশা শুরু করেন। এক পর্যায়ে কোটচাঁদপুর, জীবননগর ও দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মেহেরুন হোমিও হল নামে চেম্বার খোলেন। সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল সড়কে সাম্মী হোমিও হল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ কিডনিসহ বহুমূত্র রোগে ভুগছিলেন। গতকাল দুপুরে তেঁতুলিয়া ঈদগা ময়দানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এম আর বাবুসহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা তার নামাজে জানাজায় শরিক হন। মৃত্যুকালে তিনি মা, ৪ ভাই, ৪ বোন, স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জানাজা শেষে তার লাশ তেঁতুলিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। ডা. আব্দুল গাফফার খানের অকাল মৃত্যুতে জীবননগর প্রেসক্লাবের পক্ষ হতে গভীর শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশসহ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন।