প্রেমের অভিনয়ে গৃহপরিচারিকাকে দিয়ে দরজা খুলিয়ে সোনার গয়না চুরি

পাতা ফাঁদে পা না দেয়া আকাশকে হন্যে হয়ে খুঁজচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার: খণ্ডকালীন গৃহপরিচারিকা কিশোরী কি সত্যিই তার প্রেমিক আকাশ গ্যাংকে চুরি করতে সহায়তা করেছে? পরশু রাতভর নির্যাতনের পর সে নাকি স্বীকার করে বলেছে, প্রেমিক আকাশের কথা মতোই গত শুক্রবার খুলে দিয়েছিলো গৃহকর্তির ঘরের দরজা। ওরা ৪ জন ঢুকে ছিলো বাড়ি। ওরা সত্যিই চুরি করেছে কিনা বলতে পারবো না।
কিশোরী শাহিনা খাতুন গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাও অভিন্ন তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতেই আকাশকে ধরতে গতকাল পুলিশ পার্কে ফাঁদও পাতা হয়। তবে চতুর আকাশ ওই ফাঁদে পা দেয়নি। তাকে খুঁজতে মসজিদপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। আকাশ এই গৃহপরিচারিকা কিশোরী শাহিনা খাতুনের সাথে প্রেমের অভিনয় করে তার গৃহকর্তির ঘর খুলিয়ে সাড়ে ৬ ভোরি ওজনের সোনার গয়না চুরি করেছে বলে অভিযোগ করেছে। চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা কোহিনূর বেগম লিখিতভাবে এ অভিযোগ গতকাল সদর থানায় পেশ করেছেন। এর আগে অবশ্য ওই কিশোরীর মা হতদরিদ্র বিপত্মিক মারুফা খাতুন মৌখিকভাবে সদর থানায় উপস্থিত হয়ে তার মেয়েকে পরশু রাতভর নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে বলে কোহিনূর ও তার মেয়ে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকের কর্মচারি আলেয়ার বিরুদ্ধে নালিশ করেন। এ নালিশে পুলিশ দৌলাতদিয়াড় থেকে কোহিনূর বেগমকে থানায় নিলেও কোহিনূরের কথায় পুলিশ কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিশোরী তার প্রেমিকের কথা মতো ওই কোহিনূর বেগমের বাড়ির দরজা খুলে দেয়ার কথা স্বীকার করলে পুলিশ চুরি হওয়া সোনার গয়না উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, মৃত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মারুফা খাতুন তার কিশোরী কন্যা নিয়ে দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের বাড়ি ভাড়ায় বসবাস করেন। মারুফা এলাকার একটি মুড়ির কারখানার শ্রমিক। মেয়ে একই মহল্লার বাসিন্দা কোহিনূর বেগমের বাড়িতে খণ্ডকালীন গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে আসছিলো। গত শুক্রবার কোহিনূরের বাড়ি থেকে চুরি হয় সোনার গয়না। কোহিনূরের মেয়ে আলেয়া গত রোববার বাড়ি ফিরে চুরির বর্ণনা শোনার পর গৃহপরিচারিকা শাহিনাকে ডেকে নিয়ে পরশু রাতভর নির্যাতন করে। সকালে শাহিনার মা সদর থানায় নালিশ করে। মেয়েও থানায় হাজির হয়। কোহিনূরের বিরুদ্ধে নালিশ পেয়ে তাকে তার বাড়ি থেকে থানায় নেয়ার পর ঘটনার বর্ণনা শুনে পুলিশ কিশোরী শাহিনার প্রেমিক আকাশকে খুঁজতে শুরু করে। কে এই আকাশ? যে একজন কিশোরী গৃহপরিচারিকার সাথে প্রেমের অভিনয় করে কৌশলে চুরি করেছে? কিশোরী বিস্তারিত পরিচয় দিতে পারেনি।